এই কেস ডাইরি দেখে আমি কিছু ভয়ঙ্কর তথ্য পাচ্ছি। নিয়োগ দুর্নীতির সিটের সদস্য নয় এমন ব্যক্তিও ঘুষ দিয়ে চাকরি পাওয়া শিক্ষকদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন, সাক্ষ্য নিয়েছেন। এমনটা কী করে সম্ভব? প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। কাকে টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন সেই প্রশ্নের উত্তর দেয়নি অন্তত তিনজন এই ধরনের শিক্ষক। তারা উত্তর এড়িয়ে গেছেন। জানালেন বিচারপতি।
advertisement
আরও পড়ুন: এটি কী প্রাণী বলতে পারবেন? থ বিজ্ঞানীরাও, আসল সত্য বেরিয়ে আসতেই আকাশ থেকে পড়ল সকলে
একই প্রশ্ন একাধিকবার করা হয়েছে। যেন নাম বদলে কম্পিউটার থেকে কপি-পেস্ট করা হয়েছে। টাকার লেনদেন সংক্রান্ত অর্থবহ প্রশ্ন করাই হয়নি। চলতি বছরের জুলাই মাসেই এই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সিবিআইয়ের আচরণ খুবই ঢিলেঢালা।- জানালেন বিচারপতি। আদালতের নির্দেশেই টাকা দিয়ে চাকরি পাওয়া চাকরি পাওয়া চার শিক্ষক গ্রেফতার হয়েছে, সিবিআই নিজে থেকে করেনি। এদিন এমনই মন্তব্য করেন বিচারপতি।
আরও পড়ুন: লোকসভায় যাদবপুরের প্রার্থীতে বড় চমক CPIM-এর! সুজনের বদলে অপর্ণা, তুমুল জল্পনা
বিচারপতির সংযোজন, সিবিআই আদালতের সঙ্গে খেলা করছে। তারা দুর্নীতির পর্দাফাঁস করার লক্ষ্যে তদন্ত করছে না। সিবিআই অধিকর্তা প্রবীণ সুদকে নিয়োগ দুর্নীতির OMR Sheet সংক্রান্ত মামলায় রিপোর্ট পেশের নির্দেশ। নিয়োগ দুর্নীতিতে নিযুক্ত সিটের কর্মদক্ষতা নিয়ে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দেন বিচারপতি। এই মামলাকে গুরুত্ব দিয়ে দেখার অনুরোধ। সিটের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার নির্দেশ বিচারপতির।
আগামী ৪ অক্টোবরের মধ্যে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ। ভার্চুয়ালি উপস্থিত থাকতে হবে সিবিআই অধিকর্তা প্রবীণ সুদকে। ৪ অক্টোবর দুপুর ২ টোর সময় হাজির থাকতে হবে সিবিআই অধিকর্তাকে। প্রায় একবছর কেটে গেলেও সিবিআই কার্যত কিছুই করেনি। মন্তব্য বিচারপতির।