নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে সিবিআই হাইকোর্টকে জানিয়েছিল, নবম-দশমের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় চাকরিপ্রার্থীদের ওএমআর শিটেই তথ্য় বিকৃতি হয়েছিল। এরকম চল্লিশটি ওএমআর শিট চিহ্নত করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আদালতের নির্দেশে ওএমআর শিটের তালিকা নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে এসএসসি। ওএমআর শিট বিকৃতি করে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ, সেই শিক্ষকদের ১৬ ডিসেম্বরের মধ্য়ে বক্তব্য় জানানোর সুযোগ দেয় আদালত।
advertisement
আরও পড়ুন: 'শুভেন্দুর বিরুদ্ধে এখনই এফআইআর নয়', রাজ্যকে জানিয়ে দিল আদালত
কলকাতা হাইকোর্টের এই নির্দেশের পর ১২ জন শিক্ষক তাঁদের ওএমআর শিটের সমর্থনে হাইকোর্টে আবেদন করেন। এই ১২ জনকে মামলায় যুক্ত করার নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়। একই সঙ্গে এই ১২ জন শিক্ষককেই তাঁদের ওএমআর শিট বিকৃতি নিয়ে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। ২০ ডিসেম্বরের মধ্য়ে এই হলফনামা জমা দিতে হবে।
সিবিআই তদন্তে উঠে এসেছে, ওএমআর শিটে যে চাকরিপ্রার্থীর প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৩, এসএসসি-র সার্ভারে সেই নম্বরই হয়ে গিয়েছে ৫৩। হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায় বলেন, 'হলফনামায় ১২ জন শিক্ষক তাদের ওএমআর শিট বিকৃতি নিয়ে তথ্য দেবেন। তাঁরা রচনা, উপন্যাসও লিখতে পারেন তাঁদের সমর্থনে। অতিরিক্ত হলফনামা দেওয়ার কোনও সুযোগ দেবে না আদালত।'
সিবিআই আদালতে জমা দেওয়া রিপোর্টে উল্লেখ করে, এই চল্লিশটি ওএমআর শিটে কারচুপি করে এসএসসি-র সার্ভারে নম্বর বাড়িয়ে দিয়ে চাকরির সুপারিশ করা হয়। এসএসসিও স্বীকার করে নেয় যে ওই চল্লিশ জন চাকরিপ্রার্থীর জন্য় চাকরির সুপারিশ করা হয়েছিল। হাইকোর্টের নির্দেশেই এই চল্লিশটি ওএমআর শিটের তালিকা প্রকাশ করে স্কুল সার্ভিস কমিশন।