যদিও তাঁকে দেখামাত্রই গো ব্যাক স্লোগান দিতে থাকেন বিক্ষোভকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা৷ রাজনৈতিক কোনও নেতাকেই যে তাঁরা নিজেদের বিক্ষোভে চান না, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে সেই ঘোষণাও করে দেন জুনিয়র চিকিৎসকরা৷ এর পরেই কার্যত অস্বস্তিতে পড়েই ঘটনাস্থল ছাড়েন বিজেপি সাংসদ৷ তবে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় দাবি করেন, কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তি হিসেবে নন, শহরের একজন বাসিন্দা হিসেবেই জুনিয়র চিকিৎসকদের পাশে থাকতে এসেছিলেন তিনি৷ জুনিয়র চিকিৎসকরা তাঁকে ভুল বুঝেছেন বলেও দাবি করেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়৷
advertisement
জুনিয়র চিকিৎসকদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে নই, একজন সহ নাগরিক হিসেবেই এই আন্দোলনে জুনিয়র চিকিৎসকদের পাশে থাকতে এসেছিলাম৷ কিন্তু ওঁরা আমাকে ভুল বুঝেছেন৷ কারণ ওঁরা নিজেদের আন্দোলন নিজস্ব কিছু নীতির উপর ভিত্তি করে চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন৷ আমি সেভাবে কোনও রাজনীতির মানুষ নই৷’
তবে বিজেপি সাংসদ দাবি করেন, ‘নগরপালের অবশ্যই উচিত ছিল জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে দেখা করা৷ ওঁরা তো দুষ্কৃতী নয়৷’
আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা অবশ্য প্রথম থেকেই বলে আসছেন, তাঁরা নিজেদের আন্দোলনে রাজনীতির কোনও রং লাগতে দিতে চান না৷ তবে রাজনৈতিক নেতাদের ফিরিয়ে দিলেও সোমবার রাতে রাস্তায় বসে থাকা জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে দেখা করেছেন তিনি অভিনেত্রী দেবলীনা দত্ত, চৈতি ঘোষাল এবং সুদীপ্তা চক্রবর্তী৷