প্রশ্ন, এই প্লেসমেন্ট সার্ভিসের অফিসের মাধ্যমে কি নিয়োগ দুর্নীতি হয়েছে?শান্তনু নামে এক সিম কার্ড বিক্রেতা, তিনিও পর্যন্ত নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে কোটি কোটি টাকা তুলেছেন। তাপস মণ্ডল, গোপাল দলপতি, কুন্তলরা প্রত্যেকেই নিয়োগ দুর্নীতিতে এক একজন চাকরি প্রার্থীর কাছ থেকে ১০ লক্ষ ১৫ লক্ষ করে টাকা তুলেছিল। সেই টাকার বেশিরভাগ পৌঁছে দিয়েছিল কালীঘাটের কাকুর কাছে বলে ওদের দাবি। প্রশ্ন ,তাহলে কি কালীঘাটের কাকু দরজার তালা? যেটা খুললেই আসল জায়গা পর্যন্ত পৌঁছাতে পারবে তদন্তকারীরা! এই প্রশ্নই কিন্তু ঘোরাফেরা করছে।
advertisement
আরও পড়ুন: 'তুমি এটা করো না, করতে পারো না', বাবুলকে ধমক মমতার! কী করেছেন মন্ত্রী?
কালীঘাটের কাকু অর্থাৎ সুজয় ভদ্র সিবিআইয়ের ডাকে নিজাম প্যালেসে গিয়েছিলেন। তিনি ঢোকার সময় জানিয়েছিলেন তাকে কী জন্য ডেকেছে, তিনি জানেন না। বেরোনোর সময় জানান কোন কিছু বলতে মানা আছে তার। অর্থাৎ তিনি মুখে কুলুপ আঁটেন। কুন্তল ,তাপস ,গোপাল এদের প্রত্যেককেই তিনি চেনেন। সেটা তিনি স্বীকার করেন এবং রাজনৈতিকভাবে তাদের সঙ্গে পরিচয় বলে জানান তিনি। কারোও কাছ থেকে কোন টাকা পয়সা নেননি বলে তিনি দাবি করেন। সঙ্গে বলেন,সিবিআইকে তিনি তদন্তের সহযোগিতা করছেন।
আরও পড়ুন: রাত পেরোলেও কোর্টের নির্দেশ মানা হয়নি? পুলিশ কমিশনারকে ফোন কৌস্তভ বাগচীর
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কালীঘাটের কাকু এমনই একটা চরিত্র, যেটা খুব রহস্যময় হয়ে উঠেছে এই পর্বে। অনেকের প্রশ্ন, সুজয় কাকু placement কোম্পানি খুলেছিলেন। সেটা কি নিয়োগ- দুর্নীতির জন্য? তবে বারে বারে তদন্ত নিয়ে হাইকোর্টের কাছে সিবিআইকে ভর্ৎসিত হতে হয়েছে। তাহলে কি তদন্তে শেষের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে সিবিআই? জোর গুঞ্জন শুরু হয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। রাজ্যবাসী অপেক্ষায় রয়েছে শেষটা কী হয় তার দিকে।