এই ব্যবসায়ী বাড়ি ও অফিসে সিআইডি তল্লাশি চালায়। এই ব্যবসায়ীর টাকা ওই তিন ঝাড়খণ্ড এমএলএকে দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি সিআইডির । ওই এমএলএ ঘনিষ্ঠ এক ব্যাক্তি স্কুটার চালিয়ে আসে হেয়ারস্ট্রিট থানা এলাকার অফিসে। এরপর মাহেন্দ্র আগরওয়ালের অফিস থেকে টাকা নিয়ে যায় বলে দাবি সিআইডির। বুধবার মহেন্দ্র আগরওয়াল দিল্লি থেকে আসেন। এরপর সিআইডি জালে মহেন্দ্র। ভবানী ভবনে নিয়ে আসার পরই অসুস্থ হয়ে পড়েন। জিজ্ঞাসাবাদ শুরুর আগেই অসুস্থ বোধ করায় সিআইডি এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, এক্সরে, সিটি স্ক্যান, ইসিজি হয় তাঁর। এরপর সাইকিয়েট্রিক ডক্টরও দেখানো হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: পার্থ-অর্পিতার 'অপা' বাড়িতে ইডির তল্লাশি! ফের টাকা? কী এল হাতে? জানুন
দুপুর ১২ টা ৪৩ মিনিট নাগাদ তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে আনা হয়। বিকাল ৫ টা ১৮ মিনিট নাগাদ হাসপাতাল থেকে বের করে ৫ টা ২১ মিনিটে ভবানী ভবনে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। গতকাল এই ব্যাবসায়ীর অফিসে তল্লাশি করে সিআইডি। প্রায় সাড়ে সাত ঘণ্টা পর উদ্ধার হয় প্রায় ৩ লক্ষ ৩১হাজার ৭০০-র বেশি নগদ। ২৫০ সিলভার কয়েন, দলিল, ব্যাংক বই, চেক বুক সহ একাধিক নথি। সেই ব্যাবসায়ী বাড়িতে গত পরশু সিআইডি যায় তল্লাশি করতে। বাড়িতে ছিল না মহেন্দ্র। সিআইডির দাবি , ঘটনা পর থেকে খোঁজ ছিল না মহেন্দ্রর। মহেন্দ্র এক আত্মীয় হাসপাতালে জানান, তাঁর পরিবারে একজনের মৃত্যু পর ক্রিয়াকর্মের জন্য তিনি দিল্লি গিয়েছিলেন। বুধবার আসেন কলকাতায়। এই ঘটনায় তাঁর কী যোগ জানা নেই। সিআইডি ইতিমধ্যে মহেন্দ্রর সম্পূর্ণ চেকআপের পর নিয়ে যায় ভবানী ভবনে। এরপর আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবেন সিআইডি আধিকারিকরা। সিআইডি সূত্রে খবর, এই ব্যাবসায়ীর সঙ্গে অসমের কোনো যোগ আছে কিনা? এই বিপুল লক্ষ লক্ষ টাকা কী হাওলা নাকি অন্য কিছুর? টাকার উৎস কী? জানার চেষ্টা করছে সিআইডি।
ARPITA HAZRA