তৃণমূলের হয়ে প্রচার করতে রবিবার সন্ধ্যায় কলকাতায় এসে পৌঁছেছিলেন জয়া বচ্চন৷ এ দিন তৃণমূল ভবনে শাসক দলের তরফে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়৷ কেন তৃণমূলের সমর্থনে তিনি বাংলায় এলেন, তা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে জয়া বচ্চন বলেন, 'আমার নাম জয়া বচ্চন, বিয়ের আগে নাম ছিল জয়া ভাদুড়ি৷ আমরা প্রবাসী বাঙালি, কিন্তু বাঙালি৷ এখানে অভিনয় করতে আসিনি, আমার নেতা অখিলেশ যাদব আমাকে বললেন তৃণমূলকে সমর্থন জানাতে এখানে আসার জন্য৷ এই দায়িত্ব পেয়ে আমি খুব খুশি৷'
advertisement
এর পরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়সী প্রশংসা শোনা যায় রাজ্যসভার সাংসদের মুখে৷ তিনি বলেন, 'মমতাজির জন্য ভালবাসা, শ্রদ্ধা৷ কারণ একা একজন মহিলা সব ধরনের অত্যাচারের বিরুদ্ধে একা লড়ছেন৷ মাথা ভেঙে দিয়েছে, পা ভেঙে দিয়েছে, িকন্তু ওনার হৃদয় এবং মস্তিষ্ককে ভাঙতে পারেনি ওরা৷ আর বাংলাকে বিশ্বসেরা করার জন্য ওনার দৃঢ়তায় চিড় ধরাতে পারেনি৷'
জয়া বচ্চনের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হলে বাংলার আরও উন্নতি হবে, সে বিষয়ে নিঃসংশয় তিনি৷ একই সঙ্গে নাম না করে বিজেপি-কেও নিশানা করে তিনি বলেছেন, 'আমার বিশ্বাস যে কাজটা মমতাজি করতে চান সেটা উনি পুরো করবেন৷ বাঙালিদের ভয় দেখিয়ে কেউ কোনওদিন সফল হয়নি আর হবেও না৷ আমার থেকে আমার ধর্ম কেড়ে নেবেন না৷ আমার গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেবেন না৷ যখন আমি নিজের কথা বলছি তখন সব মানুষের কথা বলছি৷ মমতা একা একজন মহিলা হয়ে বাংলার প্রত্যেকের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার জন্য লড়ছেন৷ বাংলা যা ভাবে বা করে, সেটা গোটা দেশ অনুসরণ করে৷ '
আগামী ৭ এপ্রিল পর্যন্ত বাংলায় তৃণমূলের সমর্থনে প্রচার করবেন জয়া বচ্চন৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও কোনও একটি সভায় থাকার কথা রয়েছে তাঁর৷ তৃণমূলের তরফে এ দিন জয়া বচ্চনের সঙ্গে ছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেন ও মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু৷ সাংবাদিক বৈঠকের শেষ দিকে ব্যঙ্গাত্মক ভাবে ফের একবার বিজেপি-কে নিশানা করেন জয়া৷ তিনি বলেন, 'যাঁরা মমতাকে পছন্দ করেন না তাঁদের বলি লজ্জা, লজ্জা!'