তবে সেই সমস্ত পদ থেকে ইতিমধ্যেই তাঁকে অপসারণ করেছে তৃণমূল। ইতিমধ্যেই এ প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।তৃণমূলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির বৈঠক ছিল। তার পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ''মমতা বন্দোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী, ফলে উদ্বোধনের সময়কে থাকবে তা দেখা সম্ভব নয়। পামেলার সঙ্গে বিজেপি-র অনেকের ছবি আছে। আজ বৈঠক থেকে সিদ্ধান্ত সবার সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। সেই আলোচনার ভিত্তিতেই দলের সমস্ত পদ থেকে অপসারণ করা হল পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে।''
advertisement
আরও পড়ুন- মহিলাকে অপমান! আবাসনে ঢুকে বিজেপি নেতারই সম্পত্তি গুঁড়িয়ে দিল যোগীর বুলডোজার
জাগো বাংলা তৃণমূলের মুখপত্র। তার সম্পাদক কিছু দিন আগে পর্যন্ত ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। প্রতিদিন ছাপা হওয়ার আগে এই সংবাদপত্রটি দেখে নেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। তবে একটা বদল এ দিন চোখে পড়েছিল সবার। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নামের সামনে থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল 'মন্ত্রী' শব্দটি। আর তা যে দলীয় নির্দেশ মেনেই হয়েছিল, এমনটা রাজনৈতিক ভাবে অন্তত স্পষ্ট।
আরও পড়ুন: কী অবস্থা! হেঁটে বাথরুম যেতে পারছেন না, সেল-এর বাইরেই ড্রামের জলে মগ ডুবিয়ে স্নান করছেন পার্থ
সোমবার বিকেলেই জাগো বাংলার দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন সুখেন্দুশেখর রায়। তিনি জানিয়েছেন, অতি সম্প্রতি আমাকে দলের মুখপত্রের সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এই দৈনিক এখন জনপ্রিয়। বিরোধীরা আমাদের সমালোচনা করবেন, এতে নতুন কিছু নেই৷ বৃহত্তর অংশের মানুষ মমতা বন্দোপাধ্যায়, আমাদের দল, সরকার সম্পর্কে জানতে পারছে। আমাদের আলোচনা হয়েছে মানুষের কাছে পৌঁছনোর জন্য। আরও জোরদার করতে চাই। সংবাদমাধ্যমকে কুক্ষিগত করার চেষ্টা হচ্ছে। পর্যালোচনা করে উদ্ভাবন করব। সুখেন্দুশেখর রায় জানিয়েছেন, মানুষের যা বক্তব্য আমরা তাই তুলে ধরছি। আগামী দিনে মানুষের কাছে তাদের চাহিদা নিয়ে যাওয়া হবে। আরও একাধিক নয়া জিনিস আসতে চলেছে তৃণমূলের মুখপত্রে বলে জানা গিয়েছে।
Abir Ghosal