গত কয়েকদিন তৃণমূলের মুখপত্রে কয়কটি কিস্তিতে অজন্তার লেখা প্রকাশ দলের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছিল। নেতৃত্ব কোনও পদক্ষেপ না করায় চাপ তৈরি হচ্ছিল। দলের নিচুতলার কর্মীরা ক্ষোভের কথা জানাচ্ছিলেন নেতৃত্বকে। এরপরেই শনিবার অজন্তার কাছে কারণ দর্শানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কমিটিকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, লেখার প্রথম কিস্তি প্রকাশের দিন থেকেই চর্চায় রয়েছেন অজন্তা বিশ্বাস। তবে সকলের নজর ছিল ‘বঙ্গরাজনীতিতে নারীশক্তি’ শীর্ষক উত্তর সম্পাদকীয়তে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে কী লেখেন অনিলকন্যা? আজ তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপত্র জাগো বাংলা-য় অনিল কন্যার সম্পাদকীয় নিবন্ধ বঙ্গ রাজনীতিতে নারীশক্তির তৃতীয় তথা শেষ কিস্তি প্রকাশিত হয়েছে, যার অনেকটা জুড়েই রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
advertisement
আজকের নিবন্ধটিতে অনিল কন্যা বিশদে আলোচনা করেছেন কী ভাবে সত্তরের শেষদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার রাজনীতিতে পা রাখলেন, কী ভাবে ধাপে ধাপে তাঁর উত্তরণ হল। শেষমেষ যে ভাবে সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামকে হাতিয়ার করে তিনি মানুষের মন জয় করে ক্ষমতায় এলেন সেই আখ্যানও ছুঁয়ে গিয়েছেন অনিল কন্যা। ইতিহাসের অধ্যাপক অজন্তা ভূয়শী প্রশংসা করেছেন কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী-র মতো নারীকেন্দ্রিক প্রকল্পগুলির। পাশাপাশি করোনা পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর কাজ ও প্রশংসিত হয়েছে তাঁর দ্বারা।
বঙ্গ সিপিএমের (CPM) জ্যোতি বসু, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সঙ্গে একই আসনে থাকেন অনিল বিশ্বাস। দলের রাজ্য কমিটির সম্পাদক, পলিটব্যুরো সদস্য ছাড়া কোনও সংসদীয় পদে কোনওদিন ছিলেন না। তবে দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণ কমিটিতে তাঁর গুরুত্ব ছিল অপরিসীম। সংগঠনকে শক্ত মাটির উপর দাঁড় করিয়ে দিতে তাঁর যে অবদান, তার জোরেই বঙ্গে সিপিএমের চিরকালীন ভরসার মুখ অনিল বিশ্বাস (Anil Biswas)। এহেন অনিল বিশ্বাসের মেয়ে, অধ্যাপক অজন্তা বিশ্বাসের লেখায় সিপিএমের একসময়ের প্রধান ও প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল নেত্রীর প্রশংসা যেভাবে উঠে এসেছে, তাতে বামেদের অস্বস্তি বেড়েছে এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
উজ্জ্বল রায়