ছাত্রদের তরফে দাবি ছিল যাতে স্কলারশিপ চালু থাকে। স্কলারশিপ চালু রাখার ব্যাপারে অবশ্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কিছু করণীয় নেই। মার্কশিট নম্বর জাল করার মত ঘটনা থাকলে তা বিশ্ববিদ্যালয় এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল সিদ্ধান্ত নেবে। এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় তার অনড় মনোভাবই বজায় রাখল।
advertisement
অভিযোগ, সরকারি স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছেন ইঞ্জিনিয়ারিং এর একাংশের পড়ুয়া! এমনই অভিযোগ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। সোমবার সন্ধ্যার পর থেকেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় অস্থায়ী উপাচার্যকে ঘেরাও করা হয়। ঘেরাও কর্মসূচিতে নামেন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪০ জনেরও বেশি পড়ুয়া। এদের বিরুদ্ধে গ্রেড কার্ড ট্যাম্পারিং-এর অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন: ‘মশা’ তাড়াতে বাড়িতে কোন ‘গাছ’ লাগানো উচিত জানেন…? শুনলেই চমকাবেন ‘নাম’, শিওর!
অভিযোগ, সেমেস্টার পদ্ধতিতে সমস্ত পরীক্ষায় পাশ না করেও গ্রেড কার্ড ট্যাম্পারিং করে পাশ দেখানো হয়েছে। সরকারি স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য এই কাজ করেছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের পড়ুয়ারা। বিকাশ ভবনের সন্দেহ হওয়ায় দুজনের নথি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে। তারপরই ছাত্রদের দুর্নীতি সামনে আসে। প্রায় ৪০ জনেরও বেশি এই ধরনের কাজ করেছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় তরফ থেকে জানানো হচ্ছে। স্কলারশিপ আটকে যাওয়ায় অস্থায়ী উপাচার্যকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়াদের। তাদের দাবি অবিলম্বে তাদের স্কলারশিপের ব্যবস্থা করতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ভাস্কর গুপ্ত জানিয়েছেন,”ছাত্র-ছাত্রীরা এই ধরনের কাজ করতে পারে তা আমরা কল্পনাই করতে পারি না। বিকাশ ভবন থেকে বিষয়টি সামনে না এলে আমরা জানতেই পারতাম না। ওদের অনৈতিক দাবি কোনও ভাবেই মানা হবে না যতই আমাকে ঘেরাও করা হোক।”
বিকাশ ভবন সূত্রের খবর, কয়েকদিন আগে দুজন ছাত্রের সরকারি ওয়েবসাইটে আপলোড করা গ্রেড কার্ড নিয়ে সন্দেহ হয়। তারপরই তা ফেরত পাঠানো হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে। প্রথম বর্ষ থেকে দ্বিতীয় বর্ষের এই দুই পড়ুয়ার নম্বর জাল করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় জানায় বিকাশ ভবনকে। তারপরই বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে ভেরিফিকেশন শুরু হয় পড়ুয়াদের। যাতে এখনও পর্যন্ত ৪০ জনের নাম সামনে এসেছে বলে জানাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।