মৃতার বিশেষ বন্ধু সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘আমার ভালবাসায় নিশ্চয়ই কোন খামতি ছিল। আমার পূর্বজন্মের নিশ্চয়ই ছিল কোন পাপ। তাই শুধু আমাকে না, সকলকে ছেড়ে চলে গেলি। আর কোনো কথা নেই। রাগ নেই। হেসেও উঠবি না আর। আমাকে এই নরক থেকে নিয়ে যেতে পারতিস মিষ্টু’।
advertisement
ফোনে ওই বন্ধু জানা, ‘যা হবে আইনিপথে হবে। কাল কোনও কথা হয়নি ওর সঙ্গে৷ নেশাগ্রস্ত ছিল কি না জানি না। আমি এই বিষয়ে মন্তব্য করব না৷’ অন্যদিকে, হাইকোর্ট এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে সিসি ক্যামেরা লাগানো প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারের সঙ্গে বৈঠকে বসতে বলেছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসমিতি ৬৮ লক্ষ টাকা ব্যয় করে ৭০টি ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্তও নিয়েছিল। কিন্তু সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে তা বাস্তবায়নের কথা থাকলেও তা হয়নি।
বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে চার নম্বর গেটের কাছে গৌর দাস বাউল ও তাঁর দলকে নিয়ে ‘ড্রামা ক্লাব’ একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। উপস্থিত ছিলেন পড়ুয়া ও প্রাক্তনীরা। অনুষ্ঠান চলাকালীন রাত ১০ টা ২০ নাগাদ কারও নজরে পড়ে কলা বিভাগের ছাত্র ইউনিয়ন রুম সংলগ্ন পুকুরে কেউ ভাসছেন। অচৈতন্য অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করা হলে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়েরই ইংরেজি বিষয়ের স্নাতক বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী তিনি।
পুকুর থেকে উদ্ধারের পরে পড়ুয়ারা বেশ কিছুক্ষণ সিপিআর ও জল বার করার চেষ্টা করেন। তার পরে নিয়ে যাওয়া হয় কেপিসি হাসপাতালে। চিকিৎসকেরা ছাত্রীর দেহ পরীক্ষা করে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। হাসপাতাল ও পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
সুদীপ্ত সেন