এবার জানা গেল, প্রাক্তনী সৌরভ চৌধুরী সেই জায়গা পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে নগদে টাকা নিত জুনিয়ারদের কাছ থেকে। ব্যাঙ্কের কোনও লেনদেন হত না। স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর কাছ থেকেও সেই টাকা নিয়েছিল সৌরভ। বিনিময়ে দ্বিতীয় বর্ষের ধৃত ছাত্র মনোতোষ ঘোষের ঘরেই অতিথি হিসেবে থাকছিল স্বপ্নদীপ। এবং এই স্বভাবের কারণেই হস্টেলের সমস্ত জুনিয়ারকে ‘বাবা’ বলে ডাকতে হত সৌরভকে।
advertisement
আরও পড়ুন: ‘ফার্স্ট বয়ের’ এমন কীর্তিতে অঙ্ক মিলছে না, স্বপ্নদীপের মৃত্যুতে ধৃত সৌরভের শিক্ষক স্তম্ভিত!
হস্টেলে ঢোকার পর ইন্ট্রো বা যে কোনও সময় ‘তোর বাবা কে’, বা ‘বাবার নাম কী’ জানতে চাইলেই জুনিয়ারদের বলতে হত ‘সৌরভ বাবা’। যাদবপুরের প্রাক্তনী এমনই আধিপত্য ও ভয় তৈরি করেছিল হস্টেলের ভিতরে। সৌরভকে জেরা করেই রবিবার আরও দুই ছাত্রকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সামনে থেকে শান্ত স্বভাবের সৌরভকে দেখে কেউই ধরতে পারতেন না, ছাত্রাবাসে সৌরভের এমন দাপট।
আরও পড়ুন: স্বপ্নদীপের মৃত্যুর আগে ক্রমাগত মানসিক চাপ দিয়েছিল দীপশেখর-মনোতোষ, চাঞ্চল্যকর দাবি পুলিশের
কলকাতা পুলিশের দাবি, স্বপ্নদীপকে মানসিক নির্যাতন করেছিল যে চার পড়ুয়া তারা এখনও অধরা। তাদের খোঁজে তল্লাশি চালাতে ধৃত তিনজনের বয়ানের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে ঠিক কী কী হয়েছিল স্বপ্নদীপের সঙ্গে, তা সবিস্তারে জানতে চাইছেন তদন্তকারীরা।
অর্পিতা হাজরা