পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তিন জনের মধ্যে প্রথম জনের নাম সত্যব্রত রাই৷ সত্যব্রত কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র৷ বাড়ি সন্তোষপুরের হরিণঘাটায়৷
এছাড়া, রয়েছেন আরও দুই প্রাক্তনী৷ প্রাক্তনীদের প্রথম জনের নাম হিমাংশু কর্মকার৷ এই ছেলেটি অঙ্কে স্নাতকোত্তর পাশ করেছে যাদবপুর থেকে৷ বর্তমানে TCG থেকে ডেটা সায়েন্সে পিএইচডি করছে। বাড়ি মুর্শিদাবাদের সমশেরগঞ্জের নিমতিতায়। অন্য প্রাক্তনী শেখ নাসিম আখতার যাদবপুর থেকে রসায়নের মাস্টার্স পাশ৷ বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের মেমারিতে৷
advertisement
সূত্রের খবর, ঘটনার সময় তিনজনই হস্টেলে ছিলেন৷ তিনজনই মানসিক ভাবে হেনস্থা করেছিলেন বলে তদন্তে উঠে এসেছে৷ ঘটনার পরে দু’জন প্রাক্তনী হস্টেল থেকে চলে গিয়েছিলেন। তাঁদের নোটিস করে ডেকে পাঠায় পুলিশ৷
আরও পড়ুন: পায়খানা-বাথরুমও পরিষ্কার করতে হত ফার্স্ট ইয়ারদের, চলত দাদাদের ‘দাদাগিরি’ অলিখিত পরম্পরা
গত ৯ অগাস্ট রাত ১২টা নাগাদ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের নীচে বিবস্ত্র, রক্তাক্ত অবস্থায় এক ছাত্রকে উদ্ধার করা হয়৷ তিন দিন আগেই সে বাংলা বিভাগের স্নাতক স্তরে ভর্তি হয়েছিল৷ ঘটনার পরের দিন ভোরে হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তাঁর৷ গোটা ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী কমিটির রিপোর্টে ইতিমধ্যেই ব়্যাগিং তত্ত্ব উঠে এসেছে৷ বিবস্ত্র অবস্থাতেই যে ওই ছাত্রকে উদ্ধার করা হয়েছিল, তারও উল্লেখ রয়েছে ওই রিপোর্টে৷
ছাত্রমৃত্যুতে ইতিমধ্যেই প্রাক্তনী ও বর্তমান ছাত্র মিলে ৯ জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ৷ শুক্রবার ধৃত সপ্তক কামিল্যাকে নিয়ে ঘটনার পুননির্মাণ করা হয়৷ ঘুরে দেখা হয় চারতলার ১০৪ নম্বর ঘর ও তিন তলার ৬৮ নম্বর ঘর৷ এদিন মৃত ছাত্রের বাড়িতেও যায় তিন সদস্যের তদন্তকারী দল৷ যে ট্যাক্সি করে ঘটনার রাতে রক্তাক্ত অবস্থায় ওই ছাত্র হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, শুক্রবার তার থেকে ফরেন্সিক নমুনা সংগ্রহ করেন তদন্তকারীরা৷