পুলিশ সূত্রেও সেই রকম একটি গ্রুপের অস্তিত্বের খোঁজ মিলেছে বলে জানা গিয়েছে৷ জানা গিয়েছে, গ্রুপটির নাম ছিল JuMH৷ অর্থাৎ, যাদবপুর ইউনিভার্সিটি মেন হোস্টেল। কবে সেই গ্রুপ তৈরি করা হয়েছিল? কেনই বা হঠাৎ ডিলিট করা হল? উঠছে প্রশ্ন৷
পুলিশ সূত্রে খবর, অপরাধীর অপরাধ ঢাকতে এই JuMH হোয়াটস্যাপ গ্রুপকে ‘ব্যবহার’ করেছিল অভিযুক্তদের একাংশ। হতে পারে এই গ্রুপ আগে থেকেই ছিল, আবার ঘটনার পরেও এই গ্রুপ তৈরি হয়ে থাকতে পারে৷ গোটাটাই এখন তদন্ত সাপেক্ষ৷ তবে ওই গ্রুপে কমপক্ষে ২০ জন ছাত্র ছিল বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা৷
advertisement
আরও পড়ুন: মানুষ টানতে সেই ‘খেলা হবে’ স্লোগান! জমিয়ে তৃণমূলের প্রচার শুরু ধূপগুড়িতে
সম্ভবত, জিবির পরে হোয়াটস্যাপ গ্রুপে নির্দেশ পাঠিয়ে তারপরে তা ডিলিট করার নির্দেশ দেওয়া হয়। পুলিশ যাঁদের গ্রেফতার করেছে বা যে পড়ুয়ারা বর্তমানে হস্টেলে রয়েছে, তাদের কারও ফোনেই আর এই হোয়াটস্যাপ গ্রুপ সক্রিয় ছিল না।
তবে অভিযোগ, তথ্য প্রমাণ ঢাকতে এবং সৌরভ সম্পর্কে পুলিশ কিছু জিজ্ঞাসা করলে অন্য ছাত্রেরা কী উত্তর দেবে, সে সম্পর্কে নির্দেশ দিতে ওই হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ ব্যবহার করা হয়েছিল৷
প্রাক্তনী হওয়া সত্ত্বেও কেন সৌরভ হস্টেলে থাকেন, তা নিয়ে যে প্রশ্ন উঠতে পারে, তা সম্ভবত আন্দাজ করেছিল অভিযুক্তেরা৷ সেই কারণেই বলা হয়েছিল, পুলিশ সৌরভ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে বলতে, সৌরভের মা কলকাতায় চিকিৎসার জন্যে এলেই সে হস্টেলে থাকে, না হলে সে হস্টেলে আসে না৷
আরও পড়ুন: ঘূর্ণাবর্তে পরিণত হয়েছে নিম্নচাপ, উত্তরে তুমুল দুর্যোগ, কেমন থাকবে দক্ষিণ? জেনে নিন
এই গ্রুপের মেম্বাররা ছাত্রমৃত্যুর ঘটনা ঘটার পরে ও আগে যে চ্যাট করেছে সেটাই এখন পুলিশের কাছে প্রমাণের সব থেকে বড় হাতিয়ার। হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ সম্পর্কে জানার জন্য পুলিশ এবার ধৃতদের মুখোমুখি জেরা করতে পারে বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ সূত্রের দাবি, এটা পরিকল্পিত ভাবে করা হয়েছে। অপরাধমনস্কতা ছিল বলেই অপরাধীকে আড়াল করার চেষ্টা করা হয়েছিল।
ARPITA HAZRA
