একতরফা ভাবে রাজ্যপাল উপাচার্যকে অপসারণ করতে পারেন না বলেও চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক সময়ে রায়গুলির কথাও উল্লেখ করা হয়েছে রাজ্য সরকারের পাঠানো চিঠিতে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের মেয়াদ বাড়ানোর চিঠি দেওয়ার পরে বিশ্ববিদ্যালয় সমাবর্তন হবে কি না, তা নিয়ে সকালের বৈঠকেই সিদ্ধান্ত নেবে বিশ্ববিদ্যালয়।
আরও পড়ুন: রাস্তা বদলেছে সাগরের ঘূর্ণাবর্ত! ফুঁসছে নিম্নচাপ..বড়দিনেও কি আকাশে মেঘ?
advertisement
বুদ্ধদেব সাউ একটি বিবৃতি জারি করে বলেছেন, “রাজ্যপালের বহিষ্কারের চিঠি আমার কাছে এসেছে। রাজ্যের তরফে মেয়াদ বাড়ানো চিঠিও আমার কাছে এসেছে। দুটো চিঠি আমি কোর্টের সদস্যদের সামনে রাখব। কোর্ট এর সদস্যেরা পরবর্তী ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেবেন।” প্রসঙ্গত, এই উপাচার্যের নিয়োগকে কেন্দ্র করেই রাজ্য রাজ্যপাল সংঘাত চরম পর্যায়ে পৌঁছেছিল। রাজ্যের সঙ্গে পরামর্শ না করেই বুদ্ধদেববাবুকে একতরফা ভাবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তিকালীন উপাচার্য নিয়োগ করেছিলেন রাজ্যপাল৷
আরও পড়ুন: শীতে কোষ্ঠকাঠিন্যে কষ্ট পাচ্ছেন! একবার খেয়ে দেখুন এই পাতা…কাজ হবে ম্যাজিকের মতো
রাজ্যপাল এই উপাচার্যকে নিয়োগ করার সময়ে রাজ্যের তরফে আপত্তি তোলা হয়েছিল। আর এবার রাজ্যপাল বহিষ্কার করার পরে, সেই উপাচার্যের মেয়াদই বাড়াল রাজ্য। প্রসঙ্গত, শনিবার রাতেই বিবৃতি জারি করে রাজভবনের তরফে কড়া বার্তা দেওয়া হয়। জানানো হয়, উপাচার্য সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মানছেন না। এমনকি উপাচার্যের বিরুদ্ধে তদন্ত করারও কথাও জানানো হয় বিবৃতিতে। তদন্ত করার পাশাপাশি সমাবর্তনের জন্য যে খরচ হয়েছে সেই খরচ উপাচার্য তথা দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের বেতন থেকে নেওয়ার কথাও বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়