Health Benefit: শীতে কোষ্ঠকাঠিন্যে কষ্ট পাচ্ছেন! একবার খেয়ে দেখুন এই পাতা...কাজ হবে ম্যাজিকের মতো

রান্নায় আলাদা মাত্রা এনে দেয় এই সামান্য পাতা৷ স্বাদ-গন্ধ দুইয়েই সেরা৷ কিন্তু, আমরা অনেকেই জানি না৷ ছোট্ট টবেও অনায়াসে ফলে যাওয়া এই পাতাতেও আছে দুর্দান্ত সব গুণ৷ কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন এবং ভিটামিনের ভাঁড়ার৷ হজমেও সাহায্য করে৷ ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ রোধে দুর্দান্ত কার্যকরী৷ আমাশয়ের মতো পেটের রোগেও দ্রুত উপশম ঘটায়৷

কথা হচ্ছে কারি পাতা নিয়ে৷ দক্ষিণ ভারতের রান্নায় বেশি ব্যবহৃত হলেও এখন বাঙালিদেরও বেশ পছন্দের হয়ে উঠেছে এই কারি পাতা৷ কোচবিহারের এক অভিজ্ঞ চিকিৎসক বিশ্বজিৎ দত্ত আমাদের জানাচ্ছেন, কারি পাতার একাধিক গুণাবলির কথা৷

কারি পাতা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে: শরীরের ইনসুলিন কার্যকলাপকে প্রভাবিত করে কারি পাতা৷ রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।

কারি পাতা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ কারি পাতা কোলেস্টেরলের অক্সিডেশন বন্ধ করে৷ যা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

কারি পাতা ওজন কমাতে সাহায্য করে: কারি পাতা হজমশক্তি বাড়ায় এবং চর্বি গলিয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করে বলে মনে করা হয়।

পেট খারাপের জন্য কারি পাতা: কারি পাতা পাচনতন্ত্রের জন্য উপকারী এবং পেট খারাপ নিরাময়েও ব্যবহার করা হয়। তারা অন্ত্রের সক্রিয়তা বাড়ায় এবং এমনকি পাচক এনজাইম উৎপাদনেও সাহায্য করে। ডায়েরিয়া এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভাল টোটকা এই কারিপাতা।

কারি পাতা পাকা চুল প্রতিরোধ করে: কারি পাতা শুধু যে চুলের ‘এজিং’ কমায়, অর্থাৎ, পাকা চুল হওয়া কমায় তা-ই নয়, চুল পড়ার হাত থেকেও মুক্তি দেয় কারিপাতা। এই পাতার অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল গুণ যে কোনও ধরনের সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করে৷ কারি পাতায় থাকা ভিটামিন এ ও সি চুলের গোড়া শক্ত করে। ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষাতেও কারি পাতার কোনও তুলনা হয় না।

কারি পাতা সকালের অসুস্থতায় সহায়তা করে: কারি পাতা গর্ভবতী মহিলাদের তাদের প্রথম ত্রৈমাসিকে সকালের অসুস্থতা উপশমে সাহায্য করে।

(Disclaimer: এই প্রতিবেদনে থাকা তথ্যের সত্যতা নিউজ ১৮ নিশ্চিত করে না৷ প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন৷)