যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক কুণাল চট্টোপাধ্যায় ছাত্রের রহস্যমৃত্যুর ঘটনা নিয়ে পোস্ট করেছেন ফেসবুকে। তিনি লিখেছেন, ‘একটি প্রথম বর্ষের ছাত্র র্যাগিংয়ের শিকার হয়ে একটু আগে মারা গেছে। আমার মনে পড়ে, র্যাগিং সত্যিই র্যাগিং কিনা, সেটা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া দিয়ে ঠিক করতে হবে, এই কথা বলে প্যামফ্লেট প্রকাশ করে ঐ সব কাজের ন্যায্যতার প্রমাণ করতে চাওয়া হয়েছিল। মৃত্যুর পর নিজেদের গা বাঁচানোর চেষ্টা অনেকেই করবে। যখন র্যাগিং, যৌন হয়রানি, জাত তুলে অপমান, এসব নিছক ইউনিয়ন দখলের রাজনীতিতে পরিণত হয়, ‘আমার পক্ষ’ অভিযুক্ত হলে তাকে বাঁচানো প্রধান কাজ হয়, তখন এসব নিয়ে গালভরা নৈতিক কথা বলে আর লাভ নেই।’
advertisement
অধ্যাপকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে নিউজ18 বাংলাকে তিনি বলেন, ‘‘এই ঘটনার থেকে জঘন্য কিছু হয় না। সেনসিটাইজেশনের চেষ্টা করেছি আমরা। আমি মনে করি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য দায়ী। তাই আশা করব তারা কড়া পদক্ষেপ নেবে। কিন্তু অতীত অভিজ্ঞতা খুভ সন্তোষজনক নয়।’’
আরও পড়ুন: ভর্তি হয়েছিলেন মাত্র দু’দিন, গভীর রাতে হস্টেলের বারান্দা থেকে পড়ে মৃত্যু যাদবপুরের পড়ুয়ার
গতকাল, বুধবার রাত ১১টা ৪৫ মিনিট নাগাদ হস্টেলের তিনতলার বারান্দা থেকে পড়ে গিয়েছিলেন ছাত্র। অন্য পড়ুয়ারা ভারী কিছু পড়ার শব্দে বেরিয়ে আসেন। তার পরেই স্বপ্নদীপকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। তারপরেই কেপিসি-তে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে।
আরও পড়ুন: পড়ুয়ার শরীরে একাধিক আঘাত! যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয়ের ছাত্রের রহস্যমৃত্যুতে শুরু হল তদন্ত
ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত শুরু করল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যান্টি র্যাগিং কমিটিকে দিয়েই তদন্ত শুরু করছে বিশ্ববিদ্যালয়। তদন্তের স্বার্থে ওই সময় হস্টেলে যাঁরা উপস্থিত ছিলেন তাঁদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করবেন অ্যান্টি র্যাগিং কমিটির সদস্যরা। ওই পড়ুয়ার মাথায় গুরুতর আঘাত লেগেছিল। শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন আছে, কেন এই আঘাত? ময়না তদন্তে স্পষ্ট হবে।