দুপুর থেকে সুকান্ত সেতুর সামনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হবে। ক্যান্টিনের অন্যতম উদ্যোক্তা সুদীপ সেনগুপ্ত বলেন, "গল্পে-গানে-আড্ডায় কাটাব কিছুটা সময়। বিশিষ্ট শিল্পীরা ছবি আঁকবেন, আমাদের যৌথ রান্নাঘরের স্বপ্নকে বাঁচিয়ে রাখতে সেদিনের রাতের খাবার আমরা সকলে সংগ্রহ করব আমাদের শ্রমজীবী ক্যান্টিনের স্টল থেকে।"
আরও পড়ুনঃ করোনা সংক্রমণ বাড়ছে, কী নিদান দিচ্ছেন চিকিৎসকরা? রইল জরুরি টিপস
advertisement
করোনা সময়কালে বেশ কিছু সমস্যার সৃষ্টি হয়। প্রথমত, করোনা মোকাবিলা করতে সরকারের তরফে লকডাউন ঘোষণা করে দেওয়ার ফলে বহু মানুষ আটকে পড়ে বিভিন্ন জায়গাতে। লকডাউনের জন্য আবার বহু মানুষ রোজগারহীন হয়ে পড়ে। অন্যদিকে, সেই সময় বাজার যাওয়াটাও অনেকের পক্ষে সম্ভব হয়ে উঠছিল না। এই সব সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সৃষ্টি হয় কমিউনিটি কিচেনের কথা। যাদবপুরে তৈরি হয় শ্রমজীবী ক্যান্টিন। এখানে মাত্র ২০ টাকা দিয়ে রান্না করা খাবার দেওয়া হতে থাকে। ফলে মানুষ সস্তায় রান্না করা খাবার পেতে শুরু করল।
আরও পড়ুনঃ মোয়া ফ্লেভারের কেক! শীতের বাজারে নয়া চমক জয়নগরের
অন্যদিকে, যারা বাড়ি থেকে বেরোতে পারছিলেন না। তাঁদের কাছেও সেই খাবার পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছিল। এই কাজে আবার অনেক মানুষ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে লাগলেন। দাম একই থাকলে খাবার কিন্তু পরিবর্তন হয়ে থাকে নিয়ম করেই। ডাল সবজির পাশাপাশি মাছ, মাংস, মিস্টি যোগ হতে থাকল। করোনার প্রভাব কখনও কমেছে, কখনও বেড়েছে কিন্তু এই ক্যান্টিন প্রতিদিন খুলেছে নিয়ম করে। এলাকার মানুষও রোজ আসছেন নিয়ম করেই। এখন শুধু করোনা নয়। অনেক মানুষ অভ্যস্থ হয়ে পড়েছে এই ক্যান্টিনের ওপর। দাম কম থাকায় অনেকে এই খাবারের প্রতি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছেন। আনার রান্না করা খাবারের জন্য এখানে আসছেন প্রতিদিন।
তার সঙ্গে প্রতিদিন যুক্ত হচ্ছেন বহু মানুষ এই মানুষগুলোকে সাহায্য করার জন্য। এখানে উৎসাহ দিতে বারে বারেই ছুটে এসেছেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীরা। সেই ক্যান্টিনের ১০০০ দিন পূর্ণ হবে নতুন বছর আসার আগেই ২৯ ডিসেম্বর।
UJJAL ROY