আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস এটাও উল্লেখ করেছেন তাঁর চিঠিতে, স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করা হবে কিছু দিনের মধ্যেই। তাঁর হাতেই সমাবর্তনের দায়িত্ব দেওয়া ভাল। এত তাড়াহুড়ো কেন করা হচ্ছে? তিনি চিঠিতেও আরও উল্লেখ করেন, নতুন উপাচার্য নিযুক্ত হওয়ার পরই সমাবর্তন অনুষ্ঠান করা উচিত ছিল।
advertisement
নয়ত সমাবর্তনে দেওয়া ডিগ্রি নিয়ে সমস্যা তৈরি হতে পারে পড়ুয়াদের। রাজ্যপালের সঙ্গে গত শুক্রবার উপাচার্য দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেন। সমাবর্তন করার সিদ্ধান্ত নিয়ে কৈফিয়ত তলব করেছিলেন রাজ্যপাল। তার পরেও তিনি মনে করেন নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে এই সমাবর্তন অনুষ্ঠান করা হচ্ছে না।বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাখা, সমাবর্তনের আর কয়েক ঘণ্টা বাকি। অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়। এখনও খাতায় কলমে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য সিভি আনন্দ বোস। তিনিএখনও স্পষ্ট করেনি আচার্য হিসাবে ২৪ ডিসেম্বরের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন কী না।
২৪ ডিসেম্বর যাদবপুরে সমাবর্তন। যেখানে সাড়ে তিন হাজার মতো পড়ুয়াকে ডিগ্রি দেওয়া হচ্ছে, যার মধ্যে প্রায় ৪০০ জন থাকবেন পিএইচডি স্কলার। সমাবর্তনের জন্য ১৭ ডিসেম্বর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এগ্জ়িকিউটিভ কাউন্সিল (ইসি)-এর বৈঠক হয়েছিল। স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর মিলিয়ে কত জনকে শংসাপত্র দেওয়া হবে, তা এই বৈঠকেই চূড়ান্ত হয়। নিয়ম অনুযায়ী বৈঠকের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, তা রাজভবনকে জানানো হয়। এ বার তা জানানো হয়নি বলে আগেই উল্লেখ করেছিল রাজভবন। অভিযোগ, প্রথা মেনে রাজভবনের কোনও অনুমতিও গ্রহণ করেননি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
আগেই সিদ্ধান্ত হয়েছিল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে এ বারও সাম্মানিক ডিলিট বা ডিএসসি দেওয়া হবে না। শুধু পড়ুয়াদের ডিগ্রি দেওয়া হবে। এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন খড়্গপুর আইআইটি-র প্রাক্তন অধিকর্তা অমিতাভ ঘোষ। তবে শিক্ষক সংগঠনগুলির দাবি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্টের বৈঠকে ছিল রাজ্যপালের প্রতিনিধি। তার সই ও রয়েছে সমাবর্তন অনুষ্ঠান আয়োজন করার জন্য। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্টের বৈঠকের প্রসঙ্গই তুলে আনচা একাধিক শিক্ষক সংগঠন। আগামিকাল সমাবর্তন হচ্ছে বলেই একপ্রকার বিশ্ববিদ্যালয়ের সূত্রে খবর।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়