রাজ্য জোড়া দুর্নীতির প্রতিবাদ-সহ একাধিক ইস্যুতে কিছুদিন আগেই নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল বিজেপি । তার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই একেবারে কড়াই-উনুন নিয়ে আন্দোলনে নামতে দেখা গিয়েছিল তৃণমূলকে । প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন করেছিল তৃণমূলের মহিলা কংগ্রেস। নেতৃত্বে অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী শশী পাঁজা, সাংসদ মালা রায়।
আরও পড়ুন- পুজোয় আজ থেকে সারারাত চলবে মেট্রো, জেনে নিন সময়সূচি
advertisement
‘এজেন্সি নয়, কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরি চাই’, এই স্লোগান দিয়েই মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে পথে নেমেছিলেন তাঁরা। কিন্তু কেন কড়াই-উনুন? চন্দ্রিমা-মালাদের দাবি, এজেন্সিগুলির যে নিরপেক্ষ ভাবমূর্তি তা নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে কেন্দ্র। উল্টে মুখে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিলেও তা রাখতে পারেনি মোদি সরকার। সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিকই রাজ্য সরকারের দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। সে কারণেই তাঁদেরই এই কড়াই-উনুন নিয়ে লুচি ভেজে অভিনব প্রতিবাদ। মমতার উন্নয়ন খতিয়ান দিয়েই চন্দ্রিমাদের তির্যক স্লোগান, “দেখবি আর জ্বলবি আর লুচির মতো ফুলবি।”
কলকাতায় রাজা সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারে এই অভিনব প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছিল মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। বিভিন্ন কর্মসূচি থেকে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা আক্রমণ শানিয়ে তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতা বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকারের একটা দায়বদ্ধতা আছে। তাঁদেরও চাকরি দেওয়ার একটা দায়িত্ব আছে। কিন্তু, কেন্দ্র সরকার দেখিনা চাকরি দিচ্ছে। উল্টে আমরা দেখি কর্মসঙ্কোচন হচ্ছে। কর্মসংস্থান তো দূরের কথা, চল্লিশ শতাংশ বেকারত্ব বেড়েছে। বছরে ২ কোটি চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সরকারে এসেছিল ২০১৪ সালে। ২ কোটি তো অনেক দূরের কথা ২টো চাকরি দিয়েছে কিনা সন্দেহ আছে।”
আরও পড়ুন- কেজরিওয়ালকে লক্ষ্য করে জলের বোতল ছুড়ে মারার অভিযোগ রাজকোটে !
এরপরেই ইডি-সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে তোপ দেগে তিনি আরও বলেন, “আজ সেখানে দাঁড়িয়ে এজেন্সি দিয়ে লালচক্ষু দেখালে তো হবে না, মানুষকে চাকরি দিতে হবে। এজেন্সিগুলির যে নিরপেক্ষ ভাবমূর্তি তা নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাই আমরা বলছি এজেন্সি নয়, কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরি চাই। কর্মসংস্থানের যে দায়িত্ব সেটা মুখ্যমন্ত্রী পালন করছেন। রাজ্য সরকারের দায়িত্ব তিনি পালন করছেন।" পাশাপাশি বিজেপির পুজো নিয়েও তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতা আরও বলেন, “বড় একটা ফ্লপ পুজো। লিডারশিপের কোনও কো-অর্ডিনেশন নেই।”
