শুক্রবার প্রথমার্ধে মুসাকে আনা হলেও দ্বিতীয়ার্ধে ভার্চুয়ালে মুসার উপস্থিতিতে সাজা শোনায় আদালত। এনআইএ-র আইনজীবী শ্যামল ঘোষ জানান, দেশদ্রোহিতা, অস্ত্র আইনের একাধিক ধারাতে মুসাকে দোষী সাবস্ত করে আদালত। দেশের মধ্যে ইসলামিক স্টেট বা আইএস মডিউলের কাজে নিজেকে যুক্ত করেছিল বীরভূমের লাভপুরের বিডিও পাড়ার বাসিন্দা মুসা।
আরও পড়ুন: মারাত্মক জন্মদিনের পার্টি, কার্পেটের তলা থেকে বার হল মৃতদেহ, ভয়ানক কাণ্ড
advertisement
তদন্তে নেমে মুসার আইএস যোগের সমর্থনে একাধিক চ্যাট হাতে পান তদন্তকারীরা। গোয়েন্দাদের দাবি ছিল, সিরিয়ার আইএস জঙ্গি সংগঠনের শীর্ষ নেতা সফি আরমারের নিয়মিত সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটের মাধ্যমে কথা হত বলে তথ্য পাওয়া গিয়েছে। মূলত দেশ ও এরাজ্যে বাছাই করে বেশ কয়েকজনের মাথা কেটে খুনের পরিকল্পনা করেছিল মুসা, সেরকম তথ্যও পান তদন্তকারীরা, দাবি এনআইএ-র আইনজীবীর।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের জুলাই মাসে বর্ধমান স্টেশন থেকে গ্রেফতার করা হয় মুসাকে। গ্রেফতারের পরে তাকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছিল সিআইডি। সেই সময় চেন্নাই থেকে ট্রেনে চেপে হাওড়ায় আসে মুসাউদ্দিন। তার পর ধর্মতলায় গিয়ে ধারাল অস্ত্র কেনে সে। এর পর সে হাওড়া স্টেশন থেকে আপ বিশ্বভারতী ফাস্ট প্যাসেঞ্জারে চড়ে।
আরও পড়ুন: একের পর এক হত্যাকাণ্ড! এ বার কাশ্মীরে জঙ্গিদের গুলিতে প্রয়াত রাজস্থানের বাসিন্দা ব্যাঙ্ক কর্মী
কলকাতা পুলিশের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বর্ধমান রেল পুলিশের সাহায্য নিয়ে বর্ধমান স্টেশনে তাকে আটক করা হয়। বর্ধমান জিআরপি থানায় তাকে রাতভর জেরা করেন বর্ধমান জেলার পুলিশ সুপার, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা এবং সিআইডি-র অফিসারেরা। তারপরেই গ্রেফতার করা মুসাকে।
পরবর্তীতে তাকে হেফাজতে নেয় এনআইএ। ফেসবুক মেসেঞ্জার মারফত বাংলাদেশের সন্দেহভাজন দু’জন জঙ্গির যোগ ছিল বলেও তদন্তে জানতে পারে এনআইএ। এমন কি, প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে বন্দিদশা কাটানোর সময় ওয়ার্ডেনকে মারধর করা, আদালত কক্ষে অসভ্যতার কর্মকাণ্ড রয়েছে মুসা। এবার সেই মুসাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল আদালত। তবে সাজা শোনার পর কোনও অনুশোচনা ছিল না বলেই দাবি এনআইএ আইনজীবীর।