IRCTC-র ঠিকা শ্রমিক-কর্মচারীদের বিক্ষোভ অব্যাহত। সোমবার সকাল থেকেই শিয়ালদহ স্টেশনের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন IRCTC-র অস্থায়ী কর্মীরা। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে নয়া বিধির সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে হবে কর্তৃপক্ষকে। না হলে চলতেই থাকবে আন্দোলন।
শিয়ালদহের বিক্ষোভের রেশ গিয়ে পড়ে হাওড়া-পুণে দুরন্ত এক্সপ্রেসেও। টাটানগরে পৌঁছতেই ট্রেন থেকে নেমে আসেন কর্মীরা। রেলপুলিশ তাঁদের উপর লাঠিচার্জ করে ফের তুলে দেয় ট্রেনে। তারপরেও চলন্ত ট্রেনে কর্মবিরতি শুরু করেন IRCTC কর্মীরা। দুপুরের জল-খাবার না পেয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। এরপরই প্যান্ট্রি কারে IRCTC কর্মীদের সঙ্গে বচসায় জড়ান যাত্রীদের একাংশ। পরিস্থিতি মোকাবিলায় দ্রুত বিকল্প কর্মীর ব্যবস্থা করার আরজি জানায় IRCTC কর্তৃপক্ষ।
advertisement
পরিস্থিতি মোকাবিলায় এদিন দিল্লিতে বৈঠক করে IRCTC কর্তৃপক্ষ। রেলবোর্ডের তরফেও পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে। তবে যে অবস্থা দাঁড়িয়েছে, তাতে কার্যত মুখ পুড়েছে রেলের।
রেল ও আইআরসিটিসি দ্বন্দ্বে বিপাকে যাত্রীরা। বেশ কয়েকটি দাবিতে আজ আগাম নোটিস ছাড়াই অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু করেন পূর্ব ও দঃ পূঃ শাখার IRCTC কর্মীরা। ট্রেনে উঠেও তাঁরা নেমে যান। ফলে চলন্ত ট্রেনে খাবার ও পানীয় জল না পেয়ে ভোগান্তিতে মহিলা-শিশু সহ অসংখ্য যাত্রী। আন্দোলন কঠোর হাতে দমনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।
যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের কথা মাথায় রেখে ১৯৯৯ সালে তৈরি হয়েছিল IRCTC। কিন্তু, সেই সংস্থাতেই জমেছে অসন্তোষের বারুদ। রবিবার, আচমকাই তার বিস্ফোরণ ঘটল। IRCTC-র দায়িত্ব নিচ্ছে নতুন সংস্থা। নয়া নিয়মে নানা বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে কর্মীদের ওপর।এবার থেকে কর্মীরা বেতন নয়, বিক্রিত খাবার ও পানীয়ের ওপর কমিশন পাবেন ৷ একইসঙ্গে খাবার ও পানীয় একই কর্মী বিক্রি করতে পারবেন না ৷ নতুন নিয়ম বিধির ফলে কর্মীরা চাকরি চলে যাওয়ার ভয় পাচ্ছেন ৷