ফ্লাইট অপারেশনস ইন্সপেক্টরদের কাজ হল অপারেশনাল সম্মতি এবং নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ করা। এই ঘটনা এমন একদিনে ঘটল যখন ডিজিসিএ ইন্ডিগোর সিইও পিটার এলবার্সকে তলব করেছে, যাতে তিনি পরিষেবা পুনরুদ্ধার এবং কর্মী ঘাটতির কারণে হওয়া পরিচালনাগত বিপর্যয় নিয়ে জবাব দিতে পারেন। ইন্ডিগোর সিইওকে ডিজিসিএ কর্তৃক গঠিত চার সদস্যের উচ্চ-পর্যায়ের কমিটির সামনে টানা দু’দিন হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই প্যানেলকে ইন্ডিগো বিপর্যয়ের মূল কারণগুলি চিহ্নিত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
advertisement
গত সপ্তাহে ইন্ডিগো বিপর্যয়ের জেরে দেশজুড়ে কয়েক হাজার ফ্লাইট বাতিল হয় এবং লক্ষ লক্ষ যাত্রী দুর্ভোগের শিকার হন। দেশে অসামরিক বিমান চলাচলের পরিকাঠামো ও পরিষেবা নিয়ে বিরাট প্রশ্ন উঠে যায়। অন্তর্দেশীয় পরিষেবায় ইন্ডিগোর দেশীয় বাজারের শেয়ার প্রায় ৬৫% হওয়ায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছিল। এদিকে, ডিজিসিএ ইন্ডিগোর সদর দফতর থেকে বাতিল হওয়া ফ্লাইটের যাত্রীদের অপারেশনস এবং অর্থ ফেরতের বিষয়টি পর্যবেক্ষণ শুরু করেছে। বিমান সংস্থাটির উপর কেন্দ্রের তদারকি বাড়ার কারণে ডিজিসিএ কর্মকর্তাদের দৈনিক রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এটি এমন সময়ে ঘটল যখন কেন্দ্র ইন্ডিগোকে তার ১০% ফ্লাইট কমাতে নির্দেশ দিয়েছে, কারণ এই সমস্যাগ্রস্ত বিমান সংস্থাটি তার কার্যক্রম স্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। ৫ ডিসেম্বর বাতিল হওয়া ফ্লাইটের সংখ্যা সর্বোচ্চ ছিল, যখন ১,০০০-এরও বেশি ফ্লাইট বাতিল করা হয়। বৃহস্পতিবারই ইন্ডিগো প্রায় ১,৯৫০টি ফ্লাইট পরিচালনা করেছে।
তাদের অন-টাইম পারফরম্যান্স (ওটিপি), যা গত সপ্তাহে ৩০%-এর মতো নিচে নেমে গিয়েছিল, তা গত দুদিনে ৯২%-এর উপরে ফিরে এসেছে। এই সঙ্কটের কেন্দ্রে রয়েছে সংশোধিত ক্রু বিশ্রাম এবং ডিউটি নিয়মাবলি (ফ্লাইট ডিউটি টাইম লিমিটেশন বা এফডিটিএল নিয়ম), যা ১ নভেম্বর থেকে কার্যকর হয়েছে। এমনিতেই বিপুল কর্মী সঙ্কটে ভুগছে ইন্ডিগো। তার উপর নতুন এফডিটিএল নিয়ম অনুযায়ী ক্রু রোস্টারগুলিকে পুনর্বিন্যাস করতে হিমশিম খাচ্ছিল এই বেসরকারি বিমান সংস্থা। কোনও নজরদারি ছিল না কেন্দ্রের তরফে। ইন্ডিগোর উড়ান বাতিল হওয়ার পর সারা দেশে বিমানের টিকিট নিয়ে কার্যত অসন্তোষ বাড়তে থাকে।
