এই অভিনব উদ্যোগটি ছিল ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ফ্যাশন টেকনোলজি (NIFT)-এর ছাত্রছাত্রী ও রেলকর্মীদের এক যৌথ প্রচেষ্টা — যার উদ্দেশ্য ছিল ভারতের ঐতিহ্যবাহী হস্তশিল্প ও বস্ত্র শিল্পের বহুমুখিতা প্রদর্শন ও বাজারে পুনরুজ্জীবন আনা। এই বিশেষ অনুষ্ঠানে প্রথমবার রেলকর্মীরাই মডেল হিসেবে অংশগ্রহণ করেন।
advertisement
এই উদ্যোগটি ‘Vocal for Local’-এর মূল দর্শনের সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কিত, যা দেশীয় হ্যান্ডলুম ও হ্যান্ডিক্রাফটকে জাতীয় গৌরব ও অর্থনৈতিক বিকাশের প্রতীক হিসেবে তুলে ধরে।
ফ্যাশন ওয়াকটি দায়িত্বশীল এবং শক্তিশালী বার্তা বহন করেছে, যেখানে ভারতীয় হ্যান্ডলুমকে টেকসই ও পরিবেশবান্ধব ফ্যাশনের আদর্শ মডেল হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। খাদি ও হ্যান্ডলুম পোশাক ব্যবহারের কিছু গুরুত্বপূর্ণ সুফল নিম্নরূপঃ
• পরিবেশগত উৎকর্ষতা: ভারতীয় হ্যান্ডলুম ও হস্তশিল্প শূন্য-কার্বন নির্গমনের এক অনন্য উদাহরণ, যা জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
• অর্থনৈতিক উন্নয়ন: এই পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধির মাধ্যমে অসংখ্য তাঁতি, কারিগর ও শিল্পীর জীবিকা সরাসরি সহায়তা পায়।
• ঐতিহ্যের রক্ষক: এই হস্তশিল্প কেবল পণ্য নয় — এটি আমাদের ‘ধরোহর’-এর জীবন্ত প্রতিচ্ছবি। এদের সংরক্ষণ ও প্রসার আমাদের সাংস্কৃতিক পরিচয় রক্ষার এক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব।
শিয়ালদহ বিভাগের বিভাগীয় রেলব্যবস্থাপক শ্রী রাজীব সাক্সেনা বলেন, “ঐতিহ্যবাহী শিল্প কেবল অতীতের স্মৃতি নয়, বরং ভবিষ্যতের টেকসই ফ্যাশনের ভিত্তি। রেলকর্মীদের উচ্ছ্বসিত অংশগ্রহণ এবং NIFT ছাত্রছাত্রীদের সৃজনশীলতা এই ইভেন্টকে এক অনন্য সফলতা এনে দিয়েছে।”
পূর্ব রেলের মহাব্যবস্থাপক শ্রী মিলিন্দ দেউস্কর এই উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, “খাদি ও হ্যান্ডলুম ভারতীয় সমাজের মৌলিক বুননে জড়িয়ে থাকা এক স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ পোশাক সংস্কৃতি। এই প্রচেষ্টা সেই ঐতিহ্যকে নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে।” শ্রী বৃজেশ দেওরে, পরিচালক, NIFT কলকাতা, মন্তব্য করেন — “এই অনুষ্ঠানটি যৌথ প্রচেষ্টায় একসাথে কাজ করার এক জীবন্ত উদাহরণ।”

