যাত্রীদের অভিযোগ, টাইম টেবিল না-মানা দক্ষিণ-পূর্ব রেলের দীর্ঘ দিনের সমস্যা। হাজার ‘দাওয়াই’তেও সেই সমস্যার সমাধান হয়নি! এক দিন ঠিক হয় তো, পরের দিনই সেই একই ছবি। হাওড়ার উপরে চাপ কমাতে প্রথমে শালিমার এবং পরে সাঁতরাগাছি স্টেশনের ‘উন্নয়নে’ মনোনিবেশ করেছিল দক্ষিণ-পূর্ব রেল। আর তা করতে গিয়ে যাত্রী ভোগান্তির গোদের উপর বিষফোড়া তৈরি হয়েছে। রেল কর্তৃপক্ষ জানেনও না কবে এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। দূরপাল্লার ট্রেনগুলির মধ্যে চেন্নাই মেল, ছত্রপতি শিবাজি টার্মিনাসগামী মুম্বই মেল, শালিমার-লোকমান্য তিলক টার্মিনাস এক্সপ্রেস, অমরাবতী এক্সপ্রেস, হাওড়া-এসএমভিটি (বেঙ্গালুরু) এক্সপ্রেসের মতো একাধিক ট্রেন দেরিতে চলাই দস্তুর হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে অভিযোগ যাত্রীদের বড় অংশের।
advertisement
আরও পড়ুন– বাংলার বাইরে বড় দায়িত্বে দিলীপ ঘোষ ? ফিরে পেতে পারেন দলীয় পদও
কাছাকাছি দূরত্বে কাণ্ডারী এবং তাম্রলিপ্ত এক্সপ্রেস গত দেড় বছর ধরে সময়ে চলে না বলে অভিযোগ যাত্রীদের। রেল কর্তাদের বড় অংশের দাবি, হাওড়া থেকে খড়গপুর হয়ে টাটা ছাড়াও আদ্রা-পুরুলিয়া, চক্রধরপুর শাখায় পণ্য পরিবহণের অস্বাভাবিক চাপ রয়েছে। সারা দেশের সবচেয়ে বেশি পণ্যবাহী রেলের প্রথম চারের মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের অবস্থান। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের আধিকারিকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ট্রেনের সংখ্যা বেশি হয়ে যাওয়ায় প্রায়ই ট্রেনের রক্ষণাবেক্ষণের কাজ সময়মতো সম্পূর্ণ করা যাচ্ছে না। তাতে ট্রেন ছাড়তে গিয়ে বহু ক্ষেত্রে শুরুতেই কয়েক ঘণ্টা দেরি হয়ে যাচ্ছে। দেরিতে ছেড়ে যাওয়া ট্রেন রাস্তায় অগ্রাধিকার পায় না। ফলে সেখানে আরেক দফা বিলম্ব বাড়ছে।
দক্ষিণ-পূর্ব রেল ছাড়াও পূর্ব উপকূল, দক্ষিণ, এবং দক্ষিণ-পূর্ব-মধ্য রেল-সহ একাধিক এলাকায় পরিকাঠামো সম্প্রসারণ এবং রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলার কারণে ট্রেনে বিলম্ব হচ্ছে। বন্দে ভারতের মতো ট্রেন সময়ে চালাতে গিয়ে অন্যান্য ট্রেনের উপরেও চাপ পড়ছে। সম্প্রতি সাঁতরাগাছি স্টেশনে ইন্টারলকিংয়ের কাজ সময়মতো সম্পূর্ণ করতে না পারা এবং যাত্রী ভোগান্তি নিয়ে মারাত্মক অভিযোগ উঠেছিল।