অমিয় নন্দন সিনহা সিসিটিভি এবং এফআরএস ভিত্তিক নজরদারি, ব্যাগেজ স্ক্যানার ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন। হাওড়া স্টেশনে আরপিএফ-এর আরও দুটি কোম্পানি মোতায়েন করা হয়েছে। সন্দেহজনক জিনিসপত্র বা সন্দেহভাজন ব্যক্তির উপর নজরদারির জন্য অ্যাক্সেস নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা কার্যকর করা হয়েছে। স্টেশন এবং ট্রেনে সন্দেহজনক জিনিসপত্র পরীক্ষা করার জন্য স্নিফার এবং বিস্ফোরক সনাক্তকারী ডগ-স্কোয়াডকে প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
advertisement
স্টেশন পরিদর্শনের সময় অমিয় নন্দন সিনহার সঙ্গে ছিলেন হাওড়া ডিভিশন এবং হেড কোয়ার্টার/পূর্ব রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন আরপিএফ কর্মকর্তারা। কম গুরুত্বের স্টেশন থেকে আরপিএফ জওয়ানদের সরিয়ে এনে গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে মোতায়েন করা হবে। প্রত্যেক জওয়ানকে সশস্ত্র অবস্থায় ডিউটির নির্দেশ। শুরু হয়েছে ট্রেন ও প্ল্যাটফর্মে অতিরিক্ত নজরদারি। যাত্রীদের লাগেজ স্নিফার ডগ দিয়ে পরীক্ষা, হঠাৎ ব্যাগ চেকিংয়ের মাধ্যমে সন্দেহজনক বস্তু অনুসন্ধান করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গোয়েন্দা বিভাগ ও রেল পুলিশের সঙ্গে যৌথ ভাবে নাশকতা বিরোধী তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে। স্টেশনের প্রতিটি অংশে সিসিটিভি নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে। গোটা শহরে আতঙ্কের আবহ তৈরি হলেও, প্রশাসন জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত কোনও সন্দেহজনক বস্তু বা কার্যকলাপ ধরা পড়েনি। তবে পরিস্থিতি কতটা জটিল হতে পারে, তা মাথায় রেখেই নিরাপত্তা বলয় আরও শক্ত করছে রেল কর্তৃপক্ষ। আইজি আরপিএফ জানিয়েছেন, রেলওয়ে স্টেশনে যে-কোনও সন্দেহজনক কার্যকলাপ লক্ষ্য করলে জনসাধারণকে সতর্ক থাকার এবং কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।
