advertisement
পূর্ব রেলওয়েতে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সহ একাধিক রানিং রুম রয়েছে। প্রত্যেকটি রানিং রুমে সংযুক্ত শৌচালয় সহ পর্যাপ্ত আয়তনের ডাবল বেডের সাউন্ড প্রুফ রুম, ধ্যান এবং যোগ অনুশীলন করার জন্য মেডিটেশন রুমের মতো সুবিধা রয়েছে, যাতে ট্রেন চালানোর সময় তাঁরা মানসিক ও শারীরিকভাবে সুস্থ ও সতেজ থাকেন। রয়েছে রিডিং রুম, ডাইনিং হল, পৃথক ভেজ ও নন-ভেজ কিচেন, আরঅ’ পিউরিফায়েড পানীয় জল, পরিষ্কার ক্ষৌমবস্ত্র, সোলার হট ওয়াটার সিস্টেম, লন্ড্রি/আইরনিং, সম্পূর্ণ শরীর ও ফুট ম্যাসেজার, ট্রেডমিল এবং অটোমেটিক সাইকেলের মতো আধুনিক সরঞ্জাম সহ জিমনেসিয়াম।
এই সুবিধাগুলি লোকো পাইলট ও অ্যাসিস্ট্যান্ট লোকো পাইলটের মতো রানিং স্টাফদের প্রদান করা হয়, যাতে কর্তব্য শেষ হওয়ার পর তাঁরা শারীরিক ও মানসিকভাবে পর্যাপ্ত বিশ্রাম লাভ করেন এবং সতেজ ভাব নিয়ে পুনরায় তাঁদের কাজ শুরু করতে পারেন। এই রানিং রুমগুলি হল লোকো পাইলট ও অ্যাসিস্ট্যান্ট লোকো পাইলটদের জন্য বাড়ি থেকে দূরের বাড়ির মতো। যাত্রীদের জন্য এবং আমাদের দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখার জন্য অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রী নিরাপদে, সময় অনুযায়ী এবং দক্ষভাবে পরিবহণ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে লোকো পাইলট ও অ্যাসিস্ট্যান্ট লোকো পাইলটরা প্রায়ই গভীর রাতে এমনকি মধ্য রাতেও নিজেদের কাজ শেষ করেন। তাঁরা যেন উপযুক্ত বিশ্রাম এবং খাবার পান, তা নিশ্চিত করাটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, যাতে তাঁরা নিজেদের পরবর্তী কাজের সময় সতর্ক ও সতেজ থাকতে পারেন এবং কোনও রূপ বাধা ছাড়া ট্রেনের চলাচল নিশ্চিত করতে পারেন।
পূর্ব রেলের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, সময়ে সময়ে লোকো পাইলট ও অ্যাসিস্ট্যান্ট লোকো পাইলটদের পরিবারবর্গের সঙ্গে কথা বলার ব্যবস্থাও করা হয়। ট্রেনে তাঁদের কর্তব্য পালনের সময় তাঁদের কাজ কতটা গুরুত্বপূর্ণ, সেটা তাঁদের পরিবারের সদস্যরাও যাতে বুঝতে পারেন তার জন্য এই ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে। এছাড়া নিয়ম অনুযায়ী লোকো পাইলট ও অ্যাসিস্ট্যান্ট লোকো পাইলটরা যাতে পর্যাপ্ত বিশ্রাম লাভ করতে পারেন, তা রেলওয়ের পক্ষ থেকে সবসময় নিশ্চিত করা হয়।