আরও পড়ুন- উদ্বেগজনক বারাণসীর বন্যা পরিস্থিতি! লাইফ জ্যাকেট পরে ভেলায় চেপে জলে নামলেন যোগী!
উদ্ধার হওয়া মাদকের বাজারমূল্য বেশ কয়েক লক্ষ টাকা। পুলিশ সূত্রের দাবি, গোয়া থেকে নিষিদ্ধ মাদক পার্সেলের মাধ্যমে কলকাতার ট্যাংরা সাব পোস্ট অফিসে আনানো হয়েছিল। সম্ভবত কলকাতার কোনও রেভ পার্টিতে (Rev Party) এই মাদক সরবরাহের পরিকল্পনা ছিল পাচারকারীদের। আর সেই মতো ডেলিভারি নিতে গিয়েই ফাঁদে পড়ে দুই পাচারকারী। তিলজলার বাসিন্দা মোহাম্মদ জুনেদ এবং ফইয়াজ আলমকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। পরে মোহাম্মদ জুনেদের বাড়ি থেকে আরও বেশ কিছু মাদক উদ্ধার করা হয়।
advertisement
স্পেশাল টাস্ক ফোর্স গোপন সূত্র মারফত খবর পায় যে, ট্যাংরা সাব পোস্ট অফিসে পার্সেলের মাধ্যমে মাদক পাচার হবে। এদিনও জাল বিছিয়ে প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর বেলা তিনটে নাগাদ মোহাম্মদ জুবের নামে এক যুবককে পার্সেল সংগ্রহ করার সময় হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়। তার থেকেও অনেক পরিমাণ মাদক উদ্ধার করা হয়েছে। মূলত এই মাদক পাচারকারীরা কেমিক্যাল ড্রাগ, যেমন এমডিএমএ, এলএসডি-র মতো মাদক যেগুলি কোকেনের নেশার সমতুল্য, কিন্তু কোকেনের থেকে দাম অনেকটাই কম, সেই সমস্ত মাদকই পার্সলের মাধ্যমে পাচার করছে।
কলকাতা, দুর্গাপুর, হলদিয়া, শিলিগুড়ি, বহরমপুর সহ রাজ্যের বিভিন্ন শহর এবং শহরতলিতে বড়লোকি রেভ পার্টিতে এই নিষিদ্ধ মাদক সরবরাহ করা হতো বলে মনে করা হচ্ছে। এই চক্রের মূল মাথাদের সন্ধান পেতে মরিয়া স্পেশাল টাস্ক ফোর্স।
আরও পড়ুন- লক্ষ্য ক্ষমতায়ন, পঞ্জাবে পঞ্চায়েত বৈঠকে ঢুকতে পারবেন না নির্বাচিত মহিলার স্বামী!
প্রসঙ্গত, গত জুলাই মাসে নদিয়ার কালিগঞ্জ থানায় একটি পোস্ট অফিস থেকে স্পিড পোস্টের মাধ্যমে হেরোইন পাচার হচ্ছে এই খবর পেয়ে একজনকে গ্রেফতার করে স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। মণিপুর থেকে বিপুল টাকার হেরোইন স্পিড পোস্টের মাধ্যমে নদিয়ার কালিগঞ্জ থানার একটি নির্দিষ্ট গ্রামের গরিব মানুষের নামে নিয়মিত পাঠানো হতো। পরে সেই ব্যক্তি মাদক পাচারকারীদের এজেন্ট এর কাছে সেই স্পিড পোস্টের জিনিস অল্প কিছু টাকার বিনিময়ে তুলে দিত। তখন থেকেই এস টি এফ এর নজরে আসে ভারতীয় ডাক বিভাগ।
কলকাতার এই ঘটনাতেও স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের নজরে তপসিয়া তালতলা সহ কলকাতার বেশ কয়েকটি পোস্ট অফিস রয়েছে। বছরখানেক আগে বাংলাদেশের সিলেট, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এলাকার বিভিন্ন পোস্ট অফিস থেকে স্পিড পোস্টের মাধ্যমে এবং বেসরকারি কুরিয়ার সংস্থার মাধ্যমে এইভাবে মাদক পাচার শুরু হয়েছিল। তারই অনুসরণে এই রাজ্যে এইভাবে মাদক পাচার করা হচ্ছে কিনা সেটা খতিয়ে রাখা হচ্ছে।