TRENDING:

রাজ্যের নজরে আয়বৃদ্ধি, কীভাবে রাজস্ব আয় বাড়বে? মন্ত্রীদের থেকেই পরামর্শ চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী

Last Updated:

বুধবার সব দফতরের মন্ত্রী, সচিব, জেলাশাসক,পুলিশ সুপারদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকে মূলত রাজ্যের রাজস্ব আয় কীভাবে বাড়ানো যায় তা নিয়েই আলোচনা হয়৷

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা: রাজ্যের ভাঁড়ার শূন্য। বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প চালানোই কঠিন হচ্ছে। তাই সরকারের রাজস্ব বাড়াতে মন্ত্রীদের কাছে পরমার্শ ও প্রস্তাব চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার নবান্ন সভাঘরে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী এই প্রস্তাব রাখেন।
advertisement

বৈঠকের শুরুতেই তিনি বলেন, রাজস্ব কীভাবে বাড়ানো যায় তা নিয়ে আলোচনা করতেই এই প্রশাসনিক বৈঠক ডাকা হয়েছে। এরপরই রাজ্যের পুর ও নগর উন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস রাজস্ব বাডা়নোর নানা প্রস্তাবের কথা বলেন। মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের লিখিত আকারে জমা দিতে বলেছেন। তাঁর বাখ্যা, বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে কেন্দ্রীয় সরকার টাকা দিচ্ছে না কিন্তু প্রকল্প বন্ধ করা যাচ্ছে না। সেই কারণেই সরকারের আয় বাড়াতে হবে। জেলা প্রশাসনকেও বিষয়টি দেখার কথা বলেন।

advertisement

আরও পড়ুন: 'সিডিতেই আছে সব প্রমাণ', সিবিআই-এর অকাট্য যুক্তিতেই বিপদে অনুব্রত! ফের সেই জেলেই

আরও পড়ুন: বাগুইহাটির নৃশংস খুনের ঘটনায় সঞ্জীব-তীর্থঙ্করের স্মৃতি মনে করালেন কুণাল

এর পাশাপশি মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, "বালিখাদন থেকে রাজস্ব সংগ্রহে স্বচ্ছতা আনতে ই-টেন্ডারিংয়ের ব্যবস্থা করা হল। তারপরও বালিখাদানের রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার ঘটনা কেন ঘটছে? বেআইনি ইটভাঁটা চলতে দেওয়া হবে না। বিদ্যুতের দাম না বাড়িয়ে রাজস্ব কী করে বাড়ানো যায়, বিশেষ করে ছাই বিক্রির বিষয়টি দেখতে হবে।" এজন্য নীতি প্রনয়নের নির্দেশ দেন বিদ্যুৎ দফতরকে। জেলা প্রশাসনকেও তিনি বলেন, বহু জায়গায় অব্যবহৃত সরকারি জমি পড়ে রয়েছে। সেগুলি লিজ দিয়ে রাজস্ব আদায় বাড়ানোর প্রস্তাব দেন।

advertisement

বৈঠকে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী বলেন, "ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে জিডিপির তুলনায় ঋণের বোঝা উল্লেখযোগ্য হারের অন্য রাজ্যের চেয়ে অনেক কমেছে।  রাজ্যে বিভিন্ন পুরনো ও নতুন স্কিম চালু রাখা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী সবই পর্যালোচনা করেছেন। কেন্দ্রীয় সরকার গ্রামীণ উন্নয়ন প্রকল্পরে বরাদ্দ বন্ধ করে রেখেছেন। এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করেই প্রকল্পগুলি চালু রাখা হয়েছে। রাজ্য সরকারের লক্ষ্যই হল উন্নয়ন মূলক কাজ চালু রাখা। এজন্য স্বচ্ছতা রাখতে ই-টেন্ডারিংয়ের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। রাজস্ব সংগ্রহ বাড়ানো হচ্ছে। "

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

মুখ্যমন্ত্রী এদিনের বৈঠকে বহু পঞ্চায়েত অডিট সম্পূর্ণ না হওয়া নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন। তাঁর সাফ কথা, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই এটা করতে হবে। সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাই পঞ্চায়েতের বিভিন্ন প্রকল্প দ্রুত শেষ করার পরমার্শ দেন। এক লক্ষ বা তার বেশি টাকার যে কোনও কাজই ই-টেন্ডারিং করে করতে হবে। ই-টেন্ডারিং এড়াতে গোটা প্রকল্প টুকরো করে করা যাবে না। এই বৈঠকে রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা ছাড়াও, মহকুমাসাসক, বিডিওরাও  ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন। তিনি তাঁদের পরিষ্কার জানিয়ে দেন, সরকারি কাজে কোনওরকম ঢিলেমি বরদাস্ত নয়। অভিযোগ এলে ৭ দিনের মধ্যে ব্যবস্থা নিতে হবে।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
রাজ্যের নজরে আয়বৃদ্ধি, কীভাবে রাজস্ব আয় বাড়বে? মন্ত্রীদের থেকেই পরামর্শ চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল