১৫ মার্চ শুক্রবার বিএমডাব্লিউ গাড়িতে চেপে ফোর্ট উইলিয়ামের গেটে ঢুকতে চান এক ব্যক্তি। গেটে কর্মরতা অফিসার ব্যক্তির কাছে পরিচয় পত্র দেখতে চাইলে তিনি মোবাইলে আই কার্ড দেখান। অন্যান্য সমস্ত ধরনের কাগজপত্রই তিনি মোবাইলে দেখান। এখান থেকেই গেটে ডিউটিরত অফিসারের সন্দেহ হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদের পর ব্যক্তির আসল পরিচয় জানা যায়।
advertisement
সূত্রের খবর অনুযায়ী, ওই কিশোরের আসল নাম মি: বরোদা সুধীর। ওই ব্যক্তি নাবালক হিসেবে একটি উড়িষ্যার কটকের একটি হোমে ছিল সে। এই হোম থেকে পালিয়ে প্রথমে উড়িষ্যার কটক শহরের একটি হোটেলে ছিল সে।
১৪ মার্চ ট্রেনে চেপে হাওড়া স্টেশনে টিকিট ছাড়াই পৌছয় বরোদা। পরে এয়ারপোর্টে একটি ক্যাব নিয়ে যায়। কলকাতা শহরের একটি পাঁচতারা হোটেলে রাত কাটায় বরোদা। সকালে একটি ক্যাব বুক করে সে। ক্যাব ড্রাইভারকে নিজের পরিচয় দেয় আর্মি অফিসার এবং প্রেসিডেন্টের দেহরক্ষী বলে।
পরে ওই হোটেলের ঘর তল্লাশি করে ওই কিশোরের কোনও ব্যক্তিগত জিনিসপত্র বা নথি পাওয়া যায়নি। হায়দরাবাদ রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল সুনীল কুমারের পরিচয় ব্যবহার করে কটক এবং কলকাতা উভয়েই হোটেলে ভর্তি করা হয়েছিল।