সংবাদ মাধ্যমে খবরের গভীরতা হ্রাস পাওয়ার জন্য সব চুপচাপ হয়ে যায়।কিন্তু এর মধ্যে ঘটে যায় পুলকার মালিক ও পুলিশের বোঝাপড়া। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে হুগলীর ঋষভ সিং (৭) নামে পুলকার দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া মৃত ছাত্রের কথা কেউ কি মনে রেখেছে?
আরও পড়ুন- ফেরানোর দাবিতে ছিলেন সোচ্চার! ইউক্রেন ফেরত বাংলার পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলবেন মমতা
advertisement
কী দাম আছে ওই শিশুর বাবা মায়ের চোখের জলের! দেখা গিয়েছে বেশিরভাগ পুলকার রোড ট্যাক্স, বীমা, CF, ধোঁয়ার মেয়াদ উত্তীর্ণ অবস্থায় চলছিল। এখনও ঠিক তাই। দু'বছর covid-19- এর লকডাউনের পর স্কুল খুলেছে। পুলকার মালিকদের দাবি, দু'বছর গাড়ি বসে থাকার জন্য আর্থিক মন্দায় তারা গাড়ির কাগজপত্র নবীকরণ করতে পারছে না।
সব থেকে বড় সমস্যা, শিশুগুলিকে যে সব গাড়িতে করে নিয়ে আসা হচ্ছে, সেই গাড়ি যদি দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়, তা হলে কোনভাবে বীমার সুবিধা পাবে না ওই শিশুর পরিবার। প্রশ্ন পুলকার ছাড়া বাবা-মায়েরাও বাচ্চাদের কী করে পাঠাবেন স্কুলে?
অন্যদিকে, ট্রাফিকের নতুন আইন লাগু হওয়ার পরও কীভাবে চলছে বেআইনিভাবে পুলকার? সব থেকে বড় কথা, পুলকারগুলির বেশির ভাগ প্রাইভেট রেজিস্ট্রেশন। অভিভাবকেরা অনেকেই বললেন, তাঁদের উপায় নেই। সব জেনেও পুলকারে বাচ্চাদের পাঠাতে বাধ্য হন তাঁরা।
আরও পড়ুন- সরকারি হাসপাতালে মেডিক্যাল অফিসার-স্টাফদের ডিউটি রোস্টার
কেউ আবার বললেন, কাগজ একেবারে প্রস্তুত না হলে তাঁরা বাড়ির বাচ্চাদের ওই পূলকারে স্কুলে পাঠাবে না। পুলকার অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট সুদীপ দত্ত বললেন, লকডাউন একটা বড় ব্যাপার। ছোট বড়ো সমস্ত গাড়ি সংগঠনগুলোর তরফ থেকে সবাই মিলে পরিবহন দপ্তরের কাছে আবেদন করা হয়েছে, যাতে রোড ট্যাক্স, CF এর টাকা কমানো হয়।
তাদের দাবী, যদি সরকার বিভিন্ন ট্যাক্স কিছুটা কমায় তা হলে পুলকার ব্যবসা আবার আগের মতো স্বচ্ছ গতি পেতে পারে।