দীর্ঘদিনের অভিযোগ, বড়বাজার এলাকার ব্যবসায়ীরা কর ফাঁকি দেন।বেশিরভাগ ব্যবসায়ীরা এই রাজ্য থেকে ভিন রাজ্যে ব্যবসা সূত্রে টাকা লেনদেন ব্যাংকের মারফত খুব কম করেন। তা হলে কীভাবে করেন লেনদেন?
আরও পড়ুন- ভূটানের পারো বিমানবন্দর সাজাবেন ২ বাঙালি তরুণ স্থপতি, জানুন অয়ন-সৌম্যদীপের গল্প
ঠিক এই সময়টাতে ইলেকট্রিকের লাইট থেকে আরম্ভ করে নানা সৌখিন সরঞ্জাম বিক্রি হয়। কলকাতা থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় এবং ভিন রাজ্যের দোকানদারেরা পাইকারি দরে কিনে নিয়ে যায় সমস্ত কিছু। কলকাতার বিক্রেতাদের কাছ থেকে যাঁরা ,যে টাকায় কিনছেন, সেই টাকা তাঁদের চালানে দেখাচ্ছে না।
advertisement
মাল পরিবহনের জন্য একটি রোড চালান ব্যবহার করছে। যে টাকার মাল কিনছে, তার ১০ থেকে ২০ শতাংশ দাম লেখা হচ্ছে চালানে। মূলত এই লেনদেন হচ্ছে হাওয়ালার মাধ্যমে।
কোটি কোটি টাকা হাওয়ালার মাধ্যমে এই দেশ থেকে ভিন দেশ, এই রাজ্য থেকে ভিন রাজ্যে চলে যাচ্ছে। বড়বাজার লাগোয়া বেশ কয়েকটি বিল্ডিং রয়েছে যেখানে হাওয়ালার ব্যবসা রমরমিয়ে চলছে। মহম্মদ আলি পার্কের ঠিক বিপরীতে একটি পুরনো বহুতলে চলছে হাওয়ালার কারবার।
তাদের এজেন্ট রয়েছে। সেই এজেন্টরা বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করে নির্দিষ্ট জায়গায় হাওয়ালার মাধ্যমে পাঠিয়ে দিচ্ছে টাকা। এই হাওয়ালা বেশ মজার ব্যাপার। যাকে টাকা পাঠাবে, তিনি সেখানকার হাওয়ালা এজেন্টের কাছে গিয়ে দশ টাকার নোটের নাম্বার বলে দেবেন।
সেই নাম্বারটি তিনি আবার জানতে পারছেন যিনি টাকা প্রেরক তার কাছ থেকে। অর্থাৎ যে হাওলাদারদের মাধ্যমে টাকা পাঠাচ্ছে তার একটি ১০ টাকার নোট নমুনা স্বরূপ দিয়ে দেয় প্রেরককে। ব্যস, ওই নোটের নম্বর বললেই যাকে টাকা পাঠিয়েছেন তিনি পেয়ে যাবেন।
আরও পড়ুন- 'এসো মা লক্ষ্মী, বসো ঘরে' গানে গানে লক্ষ্মীপুজো! লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে বেতনের টাকা দিলেন মদন
বহুবার হাওয়ালার টাকা ধরা পড়েছে কলকাতায়। কিন্তু এখনও রমরমিয়ে চলছে কলকাতার বড় বাজারে এলাকাতে। এর ফলে সরকার প্রতিদিন কোটি কোটি টাকা জিএসটি হারাচ্ছে। এক শ্রেণীর ব্যবসায়ীরা এই কাজ করেই যাচ্ছে। আয়কর দফতর থেকে এনফোর্সমেন্ট কিংবা পুলিশ, তাদের তবে ভূমিকা কী? প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।