খোদ বাজি বাজারে বিক্রি হওয়া বাজিতেও দেখা যাচ্ছে ভুয়ো QR কোড। প্রসঙ্গত এই কিউআর কোড স্ক্যান করলেই CSIR-NEERI র সার্টিফিকেট দেখতে পাওয়া যায়। কিন্তু এই বাজির বৈধতা যাচাইয়ের পন্থা সম্পর্কে সচেতন নন বেশিরভাগ ক্রেতাই। যার ফলস্বরূপ বাজির বাজারে বিক্রি হওয়া একটা বড় অংশের বাজিই আদতে বিক্রি হচ্ছে ভুয়ো QR কোডকে সম্বল করে। খালি চোখে QR দেখে সন্তুষ্ট হয়ে অনেক ক্রেতাই বাজি কিনে নিয়ে গেলেও, অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে সেই QR code স্ক্যান করলে সামনে আসছে মেয়াদ উত্তীর্ণ কোনও সার্টিফিকেট, কোনও ক্ষেত্রে আবার দেখা যাচ্ছে সেই QR-ই আসলে সঠিক নয়।
advertisement
আরও পড়ুন- একাই এলেন ঐশ্বর্য, জন্মদিনের পর দীপাবলিতে উধাও অভিষেক, পাশে পেলেন প্রাক্তন প্রেমিককে, তবে কি…
আরও পড়ুন- নীলকে ভুলে অন্য পুরুষে মজেছেন তৃণা! ফাঁস করলেন স্বামীর নামও, শুনে যা হল অভিনেতার…
পরিবেশবিদ সুদীপ্ত ভট্টাচার্যের দাবি, ‘পরিবেশবান্ধব বাজি তৈরির অন্যতম উপকরণ পটাশিয়াম নাইট্রেট। বেরিয়াম নাইট্রেট এর মত অত্যন্ত ক্ষতিকর রাসায়নিক না ব্যবহার করে তুলনামূলক অনেকটাই কম ক্ষতিকারক রাসায়নিক ব্যবহার করেই তৈরি হয় এই পরিবেশবান্ধব সবুজ বাজি। কিন্তু বাজিবাজারে বিক্রি হওয়া অনেক বাজির বাক্সে কিউআর কোড থাকলেও উপকরণ এর তালিকায় জ্বলজ্বল করছে প্রায় ৬০% বেরিয়াম নাইট্রেটের উপস্থিতি। যা আদতে পরিবেশ এবং মানুষের জন্য ক্ষতিকারক।’স্বভাবতই বেশি দাম দিয়ে বাজি বাজার থেকে পরিবেশবান্ধব বাজি কিনলেও, আদতে সেই ঠকতেই হচ্ছে সাধারণ ক্রেতাদের।
যদিও বাজি বিক্রেতাদের অ্যাসোসিয়েশনের তরফে শুভঙ্কর মান্না জানান, ভিন রাজ্য থেকে আসা অনেক বাজিতে এই সমস্যার কথা তারা শুনেছেন, তারা সঠিক জায়গায় নির্মাতাদের বিষয়গুলি জানিয়েছেন। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই বিষয়ে ক্রেতা বিক্রেতা আর প্রশাসনের মধ্যে আরও সচেতনতা তৈরি হলেই এই বিষয়গুলি এড়ানো যাবে।