অন্যদিকে নাম না করে হুমায়ুন কবীরকে কড়া বার্তা দেওয়া হয়। তৃণমূলের শীর্ষনেতৃত্বের তরফে বলা হয়, দলের সভাপতি যে কেউ হতে পারেন। নেতা হিসাবে যাঁকে দল ঠিক করবে, তাঁকেই মানতে হবে। বৈঠক থেকে বেরনোর সময়ে হুমায়ুন কবীর বললেন, “আমি দলের সর্বোচ্চ নেতা নেত্রীদের কথা মেনেই চলব। আমাকে কোনো কথা বলতে বারণ করা হয়েছে।”
advertisement
সম্প্রতি একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে সংবাদ শিরোনামে এসেছিলেন তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। দিন কয়েক আগে তাঁকে শোকজ করে তৃণমূল রাজ্য নেতৃত্ব। পঞ্চায়েত ভোটে নির্দল প্রার্থী দেওয়ায় এবং দল বিরোধী মন্তব্য করায় রাজ্য নেতৃত্বের পক্ষ থেকে শোকজ চিঠি পাঠানো হয় হুমায়ুন কবীরকে। অন্যদিকে, শোকজের পরেই পাল্টা নতুন দল তৈরির ঘোষণা করেন হুমায়ুন কবীর।
আরও পড়ুন, হাতে আসবে টাকা, ঘরে ফিরবে শান্তি! বিরল যোগে শনির ‘সুনজরে’ তিন রাশি
আরও পড়ুন, এক রাতেই বদলে গেল বেহালা চৌরাস্তার ছবি, মূল্য চুকিয়ে গেল ছোট্ট সৌরনীল
পঞ্চায়েত ভোটে তাঁর নিজের অনুগামীরা টিকিট না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। প্রার্থী মনোনয়নে বিধায়ককে গুরুত্ব না দেওয়ায় প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। একাধিক আসনে হুমায়ুন কবীরের নেতৃত্বে নির্দল প্রার্থী দেওয়া হয়। এরপরেই জেলা সভাপতি শাওনী সিংহ রায়ের অপসারণের দাবিতে সরব হয়ে ওঠেন তিনি। কিন্তু তারপর ভোটপর্ব মিটতেই হুমায়ুন কবীরকে শোকজ করল তৃণমূল রাজ্য নেতৃত্ব। কিন্তু এদিন দলের শীর্ষনেতৃত্বের তরফে কড়া বার্তা পাওয়ার পরে অনেকটাই সুর নরম হতে দেখা গেল হুমায়ুন কবীরের।