পরীক্ষা না হলেও মূল্যায়ন পদ্ধতিতে উচ্চ মাধ্যমিকে এ রাজ্যে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছেন রুমানা সুলতানা। তাঁকে নিয়ে উচ্ছ্বাস শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার থেকেই। কিন্তু পাশাপাশিই শুরু হয়েছে বিতর্ক। তাঁর কথা বলতে গিয়ে নাম না করে ‘মুসলিম’ বলে পরিচয় দিয়েছেন উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি মহুয়া দাস। আনন্দের মাঝেও সেই বিষয়টাই বিতর্ক তৈরি করেছে। এ বিষয়ে রুমানারও বক্তব্য, 'মুসলিম পরিচয় না বললেই ভাল হত। আমি তো একজন ছাত্রী হিসেবে এই সাফল্য পেয়েছি। তাই ছাত্রী পরিচয়টাই এক্ষেত্রে বেশি করে প্রযোজ্য। তবে আমি এটা নিয়ে কোনও বিতর্ক চাই না।'
advertisement
বৃহস্পতিবার উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি মহুয়া দাস বলেছিলেন, ‘‘সর্বোচ্চ নম্বরের ভিত্তিতে সংসদে একটা ইতিহাস হয়েছে। যিনি সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছেন একা। একক ভাবে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছেন এক মুসলিম কন্যা। মুসলিম… মুর্শিদাবাদ জেলা থেকে একজন মুসলিম লেডি… গার্ল। তিনি একক ভাবে ৪৯৯ সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছেন।' এরপরই সেই বিষয়টি নিয়ে শুরু হয় সমালোচনা। প্রশ্ন উঠছে, পরীক্ষায় যে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে, তার নাম উচ্চারণেরও আগে কেন ‘মুসলিম’ পরিচয়টি উল্লেখ করা হল? বিতর্ক এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, তা নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি ও কংগ্রেসও। মহুয়া দাসের সমালোচনা করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীও। এমনকী ইমাম অ্যাসোসিয়েশন এর তীব্র বিরোধিতা করেছে।
তবে, সব বিতর্কের মাঝেও রুমানার কৃতিত্বকে খাটো করা যাবে না কোনওভাবেই। মাধ্যমিকেও মেধা তালিকায় পঞ্চম স্থানে ছিল সে। এবার তাঁর কৃতিত্বের জন্যই কন্যাশ্রীর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডরও করা হচ্ছে তাঁকে।