কথিত, রাজা নরসিংহ দত্তের কাছ থেকে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি রেলের জমি লিজ় নিয়ে তৈরি করেছিল এই ইয়ার্ড। রেলের বর্তমান আরআরআই কেবিন-এর পাশে ১৯৩৩ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া রেল (ইআইআর)-এর তৈরি সেতুটি এখনও ওই বিশেষ শব্দটির সাক্ষ্য বহন করে চলেছে। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন নির্মাণটি হবে বিদ্যাসাগর সেতুর মতো কেব্ল স্টেড। একটি ৫০ মিটার পাইলনের সঙ্গে ইস্পাতের কেব্ল দিয়ে টানা থাকবে। কেবলগুলি এক দিক থেকে সেতুর ১৩৪ মিটার প্রধান অংশটি টেনে রাখবে আর অন্য দিকে ৬৬ মিটারের বাকি অংশটি পাইলনের আর একটি অংশের কেব্ল দিয়ে টানা থাকবে। নতুন সেতুতে সাড়ে সাত মিটার চওড়া দু’টি লেন হবে । এ ছাড়াও থাকবে চওড়া ফুটপাত।
advertisement
নতুন সেতুটির নির্মাণ খরচ ধরা হয়েছে ১৮৪ কোটি টাকা। যে সংস্থা মাঝেরহাট সেতু তৈরি করছে, এই সেতুটি তৈরির বরাতও পেয়েছে হরিয়ানার সেই সংস্থা ‘এসপি সিংগলা’। ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার দীপক নিগম জানিয়েছেন, “আগামী দিনে হাওড়া স্টেশনে একাধিক প্ল্যাটফর্মের দৈর্ঘ্য বাড়ানো হবে। যাতে ২৬ বগির ট্রেন দাঁড়াতে পারে সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তাই পুরনো সেতু ভেঙে ফেলা হচ্ছে। নয়া সেতুতে রেলের অংশে কোনও পিলার নেই৷ ফলে প্ল্যাটফর্ম বাড়ানোর কাজে কোনও সমস্যা হবে না।”
