আজই বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়েছে হাওড়া স্টেশন থেকে। কিন্তু ট্রেনটিতে যাত্রী পরিষেবা শুরু হবে আগামী ১ জানুয়ারি থেকে। আজ সকাল থেকে সাধারণ যাত্রীদের জন্য় ট্রেনটির আসন সংরক্ষণ ব্য়বস্থা খুলে দেয় রেল। তখন থেকেই দ্রুত ভরে যেতে থাকে সব আসন। শেষ পর্যন্ত চব্বিশ ঘণ্টার মধ্য়েই প্রথম দু' দিনের সব টিকিট বিক্রি হয়ে গিয়েছে বলে খবর।
advertisement
ইতিমধ্য়েই রেল জানিয়েছে, হাওড়া এবং এনজেপি-র মধ্য়ে তিনটি স্টেশনে থামবে বন্দে ভারত। সেগুলি হল বোলপুর, মালদহ এবং বিহারের বারসই। রেলের প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী, হাওড়া থেকে এনজেপি পর্যন্ত চেয়ার কারে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের ভাড়া ১৫৪৩ টাকা। এক্সিকিউটিভ ক্লাসে ভাড়া ২৮০৩ টাকা। এর পাশাপাশি চেয়ার কারে হাওড়া থেকে বোলপুরের ভাড়া ৬২৮ টাকা। এক্সিকিউটিভ ক্লাসে ১১৫০ টাকা। চেয়ার কারে হাওড়া- মালদহ ভাড়া ৯২৯ টাকা। এক্সিকিউটিভ ক্লাসে ১৭৫৩ টাকা।
আরও পড়ুন: বন্দে ভারতের চালকের আসনে স্বামী, বর্ধমান স্টেশনে দূর থেকেই সাক্ষী থাকলেন গর্বিত স্ত্রী
বুধবার বাদে সপ্তাহে রোজই চলবে ট্রেনটি। বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের ভাড়ার সঙ্গেই খাবারের দামও ধরা থাকবে বলে জানিয়েছিল রেল। রেলের দেওয়া তথ্য় অনুযায়ী, শৌনক দাস নামে এক যাত্রী ১ জানুয়ারির হাওড়া-এনজেপি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের প্রথম টিকিটটি বুক করেছেন।
রেল কর্তারা বলছেন, অন্য় রাজ্য়ে বন্দে ভারত চালু হওয়ার পর থেকেই সেমি হাইস্পিড এই ট্রেন নিয়ে যাত্রীদের মধ্য়ে এমনিতেই আগ্রহ ছিল। কবে এই ট্রেন বাংলায় চালু হবে, সেই অপেক্ষাতেও ছিলেন অনেকে। ট্রেনের সম্ভাব্য় যাত্রার কথা আগাম জেনে তাই অনেকেই টিকিট কাটার পরিকল্পনা করে রেখেছিলেন।
তা ছাড়া বড়দিন এবং নতুন বছরের ছুটির মরশুমে এই সময় এমনিতেই উত্তরবঙ্গ গামী ট্রেনগুলিতে টিকিটের চাহিদা তুঙ্গে। অনেকেই টিকিট কাটতে গিয়ে পাচ্ছিলেন না। তাঁরাও অনেকে বন্দে ভারতকে বেছে নিয়েছেন। সবমিলিয়ে টিকিটের দাম বেশি হওয়া সত্ত্বেও বন্দে ভারতের টিকিটের তুমুল চাহিদা দেখে অবাক নন রেল কর্তারা।