ভারতে তৈরি এই সেমি হাইস্পিড ট্রেন এখন চলে দেশের বেশ কয়েকটি রুটে। নতুন বছর থেকেই হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত ছুটবে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। ভারতের রেল ব্যবস্থায় এক যুগান্তকারী নজির বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। প্রযুক্তিগত দিক থেকে শুরু করে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ, সবদিক থেকেই বিশ্বের আধুনিক ট্রেন গুলিকে প্রতিযোগিতায় ফেলতে পারে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ স্বপ্ন সারা বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দেওয়ার জন্য এই ট্রেনকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। দেশীয় প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে গড়ে তোলা হচ্ছে এই এক্সপ্রেস ট্রেন। ইতিমধ্যেই দেশের বেশ কয়েকটি রুটে এই ট্রেন চলাচল করছে।
advertisement
চলতি বছর দেশের স্বাধীনতার ৭৫ তম বর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা করেন আগামী ২০২৩ সালের ১৫ আগস্টের মধ্যে সারা ভারত জুড়ে চলবে ৭৫টি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে প্রধানমন্ত্রীর লোকসভা কেন্দ্র বারাণসী ও দিল্লির মধ্যে প্রথম যাত্রা শুরু করা এই ট্রেনের গতিসীমা এখন ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটারে বেঁধে দিলেও, ট্র্যাক পরিকাঠামো ঠিক থাকলে তা প্রয়োজনে ১৬০-১৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত গতিতে দৌড়নোর ক্ষমতা রাখে।
আরও পড়ুন- কাঁথির সভায় ভিড় দেখে জনতাকে নতজানু হয়ে প্রণাম শুভেন্দুর
বিধানসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে সম্প্রতি গুজরাতের আহমেদাবাদ থেকে মুম্বই সেন্ট্রাল ও হিমাচলের অম্ব অন্দৌরা থেকে দিল্লি— দুই রুটে বন্দে ভারত ট্রেন উপহার দেন মোদি। আগামী বছর কর্ণাটকে ভোট। তাই এখন থেকেই ওই রাজ্যের ভোটারদের বার্তা দিতে চলতি মাসে মহীষূর থেকে চেন্নাই সেন্ট্রাল পর্যন্ত বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের পরিষেবা শুরু হয়েছে।তবে খুশির খবর বাংলার জন্যেও। মন্ত্রকের আশ্বাস, বন্দে ভারতে বঞ্চিত থাকবে না পূর্ব ভারতও। সেখানে অন্তত পাঁচটি এই বিশেষ ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে ভারতীয় রেলের।
তবে খুশির খবর বাংলার জন্যেও। মন্ত্রকের আশ্বাস, বন্দে ভারতে বঞ্চিত থাকবে না পূর্ব ভারতও। সেখানে অন্তত পাঁচটি এই বিশেষ ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে ভারতীয় রেলের।- যে সব রুটে ওই ট্রেন চালানোর কথা ভাবা হয়েছে, সেগুলি হল: হাওড়া-রাঁচি, হাওড়া-ঝাড়সুগুদা, হাওড়া-ভুবনেশ্বর, হাওড়া-পটনা ও হাওড়া/শিয়ালদহ থেকে নিউ জলপাইগুড়ি। মন্ত্রকের এক কর্তার বক্তব্য, “মূলত পর্যটক ও সময় বাঁচাতে চাওয়া ব্যবসায়ীদের কথা মাথায় রেখে এই পরিষেবা। তা ছাড়া, ওই রুটগুলিতে বিমান পরিষেবাও প্রয়োজনের তুলনায় কম।”
আগামী বছরে দশটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। বন্দে ভারতের রুট বাছাইয়ে রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতা যে বড় কারণ হবে, তা বিলক্ষণ জানেন রেলকর্তারা। তাই পশ্চিমবঙ্গে পরিষেবা চালুর দিনক্ষণ বলছেন না। তবে এক রেলকর্তা বলেন, “আশা করি, ছ’মাসের মধ্যে অন্তত দু’টি বন্দে ভারত দাঁড়িয়ে থাকবে হাওড়া স্টেশনে।”