শেষ পর্যন্ত ভুল মেনে নিয়ে প্রতিবাদী শিক্ষিকাকে ক্লাসে ফেরানোর সিদ্ধান্ত স্কুলের। হাওড়ার হেরিটেজ অ্যাকাডেমির শিক্ষিকাকে বরখাস্তের ঘটনায় বিস্মিত হয়েছিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কী করে একজন শিক্ষিকা প্রতিবাদ করার পর বরখাস্ত হন, প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় একজন শিক্ষিকার সঙ্গে এমন কাজ কী করে করেছিল স্কুল কর্তৃপক্ষ! অবাক হয়েছিল বিচারপতি।
advertisement
আরও পড়ুন- দু'দিনেই সেতু নির্মাণের কাজে ছাড়পত্র দিল কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি
বিচারপতির পর্যবেক্ষণ ছিল,"প্রতিবাদ করায় শাস্তি শিক্ষিকাকে, আজকের সভ্য সমাজে যা অকল্পনীয়। কেউ অপরাধ করল, আর তার প্রতিবাদ করে শাস্তি পেলেন কি না প্রতিবাদী শিক্ষিকা! এটা তো একেবারেই মেনে নেওয়া যায় না। যৌন হেনস্থার কথা স্বীকার করছে স্কুলও, তবু কেন চাকরি থেকে বরখাস্ত! প্রতিবাদী শিক্ষিকার পাশে থাকার পরিবর্তে তাঁকে বরখাস্ত করে দিল স্কুল!"
আরও পড়ুন- সামান্য পরীক্ষা বাড়তেই করোনা আক্রান্ত বাড়ল রাজ্যে, বাড়ল সংক্রমনের হার
বৃহস্পতিবার হেরিটেজ অ্যাকাডেমি স্কুলের তরফে আদালতে জানানো হয়েছে, শিক্ষিকা চাইলে শুক্রবার থেকেই স্কুলে জয়েন করতে পারেন। সোমবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ রাজ্যকে প্রস্তাব দেবে, কথায় কথায় বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বরখাস্তের ক্ষেত্রে রক্ষাকবচ কী হতে পারে। যে কোনও ইস্যুতে শিক্ষক-শিক্ষিকাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে গেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। এটাই যেন দস্তুর হয়ে দাঁড়িয়েছে। বেসরকারি চাকরি। তাই কি এতটা সহজে চাকরি থেকে সরিয়ে দেওয়া যায়! তবে এবার শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পাশে হাইকোর্ট।