রাজ্য বিধানসভা স্পষ্ট নির্দেশ দিয়ে জানিয়েছে, এবার থেকে বিধায়কদের সুপারিশপত্র নিয়ে যাঁরা হোস্টেলের অতিথিশালায় থাকবেন তাঁদের অন্তত সাতদিন আগে আবেদন করতে হবে। অতিথিদের সঙ্গে থাকা সুপারিশপত্র এবং অন্যান্য নথি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে খতিয়ে দেখে সন্তুষ্ট হলে তবেই ঘর বরাদ্দ করা হবে। কেউ অসৎ উদ্দেশ্যে ঘর ভাড়া নিচ্ছেন বলে ধরা পড়লে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
advertisement
আরও পড়ুন- অভিনেত্রীর গাড়িতে পিষে গেলেন কর্মরত শ্রমিক! ভয়াবহ দুর্ঘটনা মেট্রো রেল স্টেশনের কাছে
এদিকে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করে তোলাবাজি মামলায় শেক্সপিয়ার সরণি থানার পুলিশ এমএলএ হোস্টেলের সুপার সুশান্ত মণ্ডলকে তলব করেছে। কীভাবে অভিযুক্ত বিজেপি বিধায়কের নাম করে ঘর ভাড়া নিলেন তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই বিধায়ককেও আগামীতে জেরা করবে পুলিশ।প্রসঙ্গত, কলকাতার কিড স্ট্রিট এমএলএ হোস্টেলে বিধায়কদের সুপারিশক্রমে ৪১টি ঘর ভাড়া দেওয়া হয়।
এইরকম একটি ঘর বিজেপি বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে-র নামে বুক করেছিল ওই তোলাবাজি কাণ্ডের অভিযুক্তরা। এ-প্রসঙ্গে রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, হোস্টেল সুপারের রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। পুলিশের কাছেও বিষয়টি জানতে চাওয়া হয়েছে। কেউ অসৎ উদ্দেশ্যে ঢুকে থাকলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিজেপি বিধায়ক যে চিঠি দিয়েছেন তাতে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তার সই জাল করে ঘরে থাকার রেকমেন্ডশন লেটার বানানো হয়ে থাকতে পারে। সেই বিষয়টিও পুলিশের তদন্ত করে বার করা উচিত বলে তিনি জানিয়েছেন।
তিনি বিধানসভার অধ্যক্ষ, সচিবালয় ও হোস্টেল সুপারিন্টেন্ডেন্টকে পরিষ্কার করে জানিয়ে দিয়েছেন এই ব্যক্তির সাথে তার কোনও ধরনের পরিচয় নেই। পুলিশ এই তিন ব্যক্তিকে বারবার ধরে জেরা করে তাদের সাথে কাদের কাদের যোগ রয়েছে তা জানার চেষ্টা করছে। কিন্তু বিধানসভার হস্টেলের মতো একটা হাই প্রোফাইল জায়গায় কী ভাবে এতজন একটা গাড়ি নিয়ে ঢুকলেন। একটা ঘরে বসে এই সব প্রতারণা চালিয়ে গেলেন তা যথেষ্ট আশ্চর্যজনক। এই অবস্থায় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে যাতে কোনও ফাঁক ফোকর ভবিষ্যতে না থাকে তা নিশ্চিত করতে চাইছে বিধানসভা।