তার পর যেন সামনে সাক্ষাত্ মৃত্যু। হুড়মুড়িয়ে দোতলা বাড়ির সামনে দিক পুরো ভেঙে পড়ল তাঁর চোখের সামনে। চাপা পড়ল দোকানের জিনিসপত্র। এমন ভয়ঙ্কর ঘটনা উত্তর কলকাতার ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের।
আরও পড়ুন- ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়াই কেনা যাবে 'এই' ১৬ টি ওষুধ
১৫, বুদ্ধু ওস্তাগর লেনে ভেঙে পড়ল একটি দোতলা বাড়ির সামনের অংশ। ভেঙে পড়া অংশে ছিল একটি দোকান। অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচেন দোকান মালিক গৌতম কুণ্ডু।
advertisement
এদিন সকাল পাঁচটা নাগাদ দোকান খোলেন তিনি। চোখের সামনে ভেঙে পড়ে বাড়িটির সামনের অংশ। তিনিও যেমন প্রাণে বেঁচেছেন, তেমন উপরের বাসিন্দারা না থাকায় রক্ষা পেয়েছেন অনেকে।
ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসেন কাউন্সিলর সোমা চৌধুরী। পুরনো দিনের বাড়ি। দীর্ঘদিন রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ভেঙে পড়েছে বলে জানিয়েছেন ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সোমা চৌধুরী।
তিনি আরও জানান, কেউ আহত হননি। রবিবার হওয়ায় দোকানগুলো বন্ধ ছিল। আর সকাল সকাল দুর্ঘটনা হওয়ায় রাস্তাতেও কেউ ছিল না,সেটাই রক্ষার। তিনি আরও বলেন, এলাকাবাসীকে তিনি বলেছেন, বাড়িগুলো ঠিকঠাকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করতে।
আরও পড়ুন- আট দিন আগের মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, পূষণ-সৌরদীপের উদ্দেশ্যে রবীন্দ্র সরোবর লেকে মৌন
বাড়ির মালিক বিজন সাহা কলকাতার বাইরে আছেন। তাঁকে খবর দেওয়া হয়েছে। তিনি এলে কাউন্সিলরের সঙ্গে আলোচনা করে বাড়ি নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ওই এলাকায় অধিকাংশ বাড়ি পুরোনো। কাউন্সিলর ও পুরসভার তরফে বাড়ির মালিকদের বারবার আবেদন করা হয়েছে বাড়িগুলোর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য। অভিযোগ, কেউ করেন, কেউ করেন না। এমনকী গৌতমবাবুও দাবি করেন, পুরোনো বাড়ি, সংস্কার হয় না। তার ওপর নতুন করে ঘর, বাথরুম তৈরি হয়েছিল। ভার সামলাতে না পেরেই এই বিপত্তি।
ঘটনার খবর পেয়ে আসেন পুরসভার আধিকারিকরাও। এসেছিল আমর্হাস্ট স্ট্রিট থানার পুলিসও। এখন পরিস্থিতি বিবেচনা করে বাড়িটির ভবিষ্যত নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে।