মঙ্গলবার রাতে মেছুয়া বাজারের যে হোটেলে বিধ্বংসী আগুন লেগে ১৪ জনের মৃত্যু হল, সেই ঋতুরাজ হোটেল অতিথিদের থাকার জন্য মোট ৪২টি ঘর ছিল৷ মঙ্গলবারও হোটেলে মোট ৮৮ জন অতিথি ছিলেন৷ যথেষ্ট বড় মাপের হোটেল হলেও তাতে ঢোকা বেরনোর জন্য ছিল একটাই সিঁড়ি৷ দমকলের নিয়ম মেনে আপতকালীন কোনও সিঁড়ির ব্যবস্থা রাখা ছিল না হোটেলে৷
advertisement
আরও পড়ুন: আগুন নিভতেই শুরু হল তল্লাশি, অভিশপ্ত হোটেলের ভিতরে মৃতদেহের সারি! মেছুয়ায় নির্মম পরিণতি
যে কারণে মঙ্গলবার রাতে আগুন ভয়াবহ আকার নেওয়ায় চেষ্টা করেও একতলায় নেমে আসতে বা ছাদে উঠে যেতে পারেননি হোটেলের ভিতরে আটকে পড়া অতিথি এবং কর্মীরা৷ আরও অভিযোগ, হোটেলে অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা থাকলেও আগুন লাগার পর তা কাজ করেনি৷ জলও বেরিয়ে আসেনি৷ ফলে শুধুমাত্র লোক দেখানোর জন্য অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা লাগিয়ে রাখা হয়েছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছে দমকল কর্তৃপক্ষ৷
স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, আগে ঋতুরাজ হোটেলের দোতলায় ভাড়া দেওয়া ছিল৷ সম্প্রতি বেআইনি ভাবে দোতলার সব জানলা বন্ধ করে সেখানেও রেস্তোরাঁ তৈরির কাজ চলছিল৷ যদিও এই কাজে পুরসভার অনুমোদন ছিল কি না, তা স্পষ্ট নয়৷ হোটেলের রেস্তোরাঁ থেকেই মঙ্গলবার রাতে আগুন ছড়ালো কি না, তাও খতিয়ে দেখছে দমকল কর্তৃপক্ষ৷ ফরেন্সিক পরীক্ষার পরই বিষয়টি স্পষ্ট হবে৷
জানা গিয়েছে, ওই হোটেলের দুই মালিক আকাশ এবং অতুল হাওড়ার বাসিন্দা৷ তাঁদের খোঁজেও তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ৷ প্রশ্ন উঠছে, মধ্য কলকাতার বুকে বিকল্প সিঁড়ি, অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা ছাড়াই এত নিয়ম ভেঙে কীভাবে এত বড় মাপের হোটেল চলছিল? কেন দমকল বা পুরকর্তৃপক্ষের কারও এই অনিয়ম চোখে পড়ল না, সেই প্রশ্নও উঠছে৷