হাসপাতালে প্রতিদিন কয়েক হাজার রোগীর পরিবার, পরিজন আসে। তারা মল-মুত্র ত্যাগ করতে গেলে হাসপাতালের ওই সাধারণ শৌচালয়টি ব্যবহার করতেই হয়। শৌচালয় ব্যবহার করতে গেলেই মাথায় হাত পড়ছে সবার। ওই শৌচালয়ে একবার মলত্যাগ করতে গেলে ৬ টাকা, আর মূত্র ত্যাগে ৩ টাকা, স্নান করতে ১০ টাকা।
এদিকে হাসপাতালের পাশেই পাওয়া যায় ৫ টাকায় ডিম ভাত। অর্থাৎ খাওয়া খরচ পাঁচ টাকা, কিন্তু মলমূত্র ত্যাগ করতে ৯ টাকা খরচ করতে হবে। আগে মল – মূত্র-স্নানের জন্য লাগত যথাক্রমে ২,৫,৭ টাকা। তা নিয়ে অসন্তোষ থাকলেও রোগীর বাড়ির লোকজনেরা মানতে বাধ্য হচ্ছেন। তার ওপর পরিচ্ছন্নতা নিয়েও অভিযোগ রয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: বলুন তো, দেশের কোন শহরে কোনও ট্রাফিক সিগন্যাল নেই? আরও এক কারণে এ শহর বিখ্যাত
মিনা বিবি এক রোগীর আত্মীয় হাওড়ার আমতা এলাকা থেকে এসেছিলেন হাসপাতালে। সঙ্গে আরও দুজন রয়েছেন। তিন দিনে মল- মূত্র ত্যাগে তাদের প্রায় দেড়শ টাকার কাছাকাছি চলে গিয়েছে। এরকম ভাবে অন্যান্য রোগীর পরিজনেরা অভিযোগ করেন যে, তারা বিনা খরচে চিকিৎসা পাওয়ার জন্য ওখানে আসেন। কারণ তাদের আর্থিক সঙ্গতি খুব একটা ভাল নয়।
আরও পড়ুন: অভিষেকের সভার একদিন আগেই অভিনব কাণ্ড! তৃণমূল প্রার্থীকে ঘিরে যা ঘটল, ফলাফল যেন স্পষ্ট
মমতা সরকারের দেওয়া ৫ টাকায় ‘মা ক্যান্টিনে’র ডিম ভাত। প্রতিদিন পেট ভরে খাওয়া যায়। কিন্তু শৌচাগারের খরচ লাগামছাড়া। বিষয়টি বেশ হাস্যকর হয়ে উঠেছে। তবুও বাস্তব। এই বিষয়ে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার অঞ্জন অধিকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমি জানতাম না। আমি দেখে নিচ্ছি।’
সূত্রের খবর, এবার যে ঠিকাদার ওই সুলভ শৌচালয়টি ১৬ মার্চ থেকে ঠিকায় নিয়েছেন, তিনি অতিরিক্ত ভাবে টাকা বাড়িয়েছে। যার ফলে সাধারণ রোগীর পরিবারের উপর আর্থিক চাপ বেড়েছে। সেটি আর সুলভ শৌচালয় নেই।এখন বাণিজ্যিক শৌচালয়ে পরিণত হয়েছে।