সংগঠনের সর্বভারতীয় সম্পাদকের পদ থেকে এ বার বয়সের কারণে সরে দাঁড়াচ্ছেন অভয় মুখোপাধ্যায়। গত দু'বার পরপর এই পদে ছিলেন তিনি। সেই জায়গায় রাজ্যের নেতা হিমঘ্নরাজ ভট্টাচার্যের হাতে সেই দায়িত্ব তুলে দেওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। বিরাট কোনও অঘটন না ঘটলে এই নাম পরিবর্তনের সম্ভাবনা কম। ঝাড়খণ্ড, ত্রিপুরা থেকে দাবিদার থাকলেও তা বড়সড় বাধা হবে না বলেই মনে করছে রাজ্যের নেতারা। ফলে দেশের বাম যুব আন্দোলনে নেতৃত্বর রাশ থাকছে বাংলার হাতেই। সভাপতির আসনে বসতে পারে কেরলার কোনও যুব নেতা।
advertisement
আরও পড়ুন: কেন্দ্র-রাজ্যকে বিঁধে DYFI সম্মেলনে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বার্তা, যুব সমাজ পেল অক্সিজেন
কেনও রাজ্যের নেতৃত্বের উপরেই বারবার ভরসা রাখতে চাইছে ডিওয়াইএফআই? সম্মেলনে যোগ দিতে আসা কেরলের এক প্রতিনিধি বলেন, "এই রাজ্যের মাটি বামপন্থীদের। এই মাটি নেতৃত্বের জন্ম দেয়। জ্যোতি বসু, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য-সহ এরকম অনেক নেতাকে আমরা এই রাজ্য থেকে পেয়েছি।" উত্তর ভারতের এক নেতার কথায়, "সংসদীয় রাজনীতিতে ভোটের ফল ভাল খারাপ হতেই পারে। বাহাত্তর সালেও দল খারাও ফল করেছিল কিন্তু তারপর যখন ঘুরে দাঁড়িয়েছিল ইতিহাস সৃষ্টি করেছিল। আর এটা ভবিষ্যতে আবারও প্রমানিত হবে। যে জায়গার নেতারা এটা করতে পারে সেই রাজ্য থেকেই যদি সর্বভারতীয় নেতৃত্ব আসে সেটা সংগঠনের জন্য ভালো তো।"
আরও পড়ুন: বিয়ার বিক্রিতে সর্বকালীন রেকর্ড! রাজ্যে দিনে কত লক্ষ কেস বিক্রি হচ্ছে জানেন? চমকে উঠবেন...
যদিও এ বিষয় এখনই মুখ খুলতে চাইছে না রাজ্যের নেতারা। রাজ্য নেতৃত্বের একাংশের বক্তব্য আলোচনা চলছে। হিমঘ্নরাজ ভট্টাচার্য যোগ্য নেতা। বেশিরভাগ প্রতিনিধিই তাঁকে নেতৃত্বে আনতে চাইছে। তবে নাম চূড়ান্ত হতে আরেকটু সময় লাগবে। ছাত্র আন্দোলন দিয়ে রাজনীতি শুরু হিমঘ্নরাজের। এরপর ২০১০ সালে যুব আন্দোলনে প্রবেশ করেন তিনি। ডিওয়াইএফআই দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা কমিটির সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে ডিওয়াইএফআই-এর কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য। দলের সর্বক্ষণের কর্মী হিমঘ্ন সিপিএমের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা কমিটির সদস্য।
UJJAL ROY