উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ সূত্রের খবর, এতদিন উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে সেমিস্টার পিছু ফি কত হবে, তার নির্দিষ্ট সীমা ছিল না। ফলে এক একটি স্কুল এক এক রকম টাকার অঙ্ক ধার্য করত বলে অভিযোগ উঠছিল। একাধিক অভিযোগ আসার পরেই উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের কড়া নির্দেশ দেওয়া হল স্কুলগুলিকে। জেলায় জেলায় স্কুলগুলিকেও একই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সংসদ নির্দেশিত সেমিস্টার ফি-য়ের থেকে বেশি টাকা নেওয়া হলে স্কুলগুলির বিরুদ্ধে কড়া শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে সংসদ।
advertisement
শিক্ষা সংসদের তরফ থেকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে, এখন প্রত্যেকটি স্কুল পরীক্ষা ফি বাবদ ৭০ টাকার বেশি নিতে পারবে না। পাশাপাশি, স্কুলগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এই টাকা বরাদ্দ খাতেই ব্যবহার করতে হবে, অন্যত্র নয়।
এ প্রসঙ্গে যাদবপুর বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক পার্থপ্রতিম বৈদ্য বলেন, “৭০ টাকায় সেমিস্টার পদ্ধতিতে সমস্ত ব্যবস্থা করা কঠিন। তবে শিক্ষা সংসদের নির্দেশ আমরা মানতে বাধ্য। এই টাকার মধ্যে পরীক্ষা নিতে হবে।” তবে, শিক্ষক সংগঠনগুলি উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছেন।
একাধিক স্কুল জানাচ্ছে, কম্পোজিট গ্ল্যান্টের টাকা ঠিক মতো পৌঁছয় না। তার উপর পরীক্ষা পরিচালনা মাত্র ৭০ টাকায়। প্রশ্ন ছাপানো, প্রথম সেমিস্টার নিতে হয় ওএমআর শিটে, তার ব্যবস্থা করা। কী করে হবে। শিক্ষা সংসদের ভাবনা চিন্তা করা উচিত বলে জানাচ্ছেন তাঁরা।
