স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, শুক্রবার এই বিষয় নিয়ে প্রতিটি জেলার স্কুল বিদ্যালয় পরিদর্শকদের থেকে রিপোর্ট চায় স্কুল শিক্ষা দফতর। সেই রিপোর্টে ২৪ টি জেলার ২৫ টি স্কুল বিদ্যালয় পরিদর্শক পর্যাপ্ত সংখ্যক শিক্ষক-শিক্ষিকা থাকার কথা জানিয়েছে। স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, এই বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু স্কুল শিক্ষা দফতরকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলেন। যদিও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফে স্কুল- বিদ্যালয় পরিদর্শককে বলা হয়েছে, যদি কোনও স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকার ঘাটতি থাকে, তাহলে নিকটবতী জুনিয়র হাই স্কুল, মাধ্যমিক স্কুল থেকে যেন শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়ে যাওয়া হয় নজরদারির জন্য।
advertisement
অন্যদিকে, উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ ইতিমধ্যে নির্দেশ দিয়েছে, যেদিন যে-বিষয়ে পরীক্ষা হবে, সেই বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত শিক্ষক-শিক্ষিকারা কোনওভাবেই নজরদারির দায়িত্বে থাকতে পারবেন না। হোম সেন্টারে পরীক্ষা হওয়ার জন্যই এই সিদ্ধান্ত স্কুলগুলিতে, এমনটাই জানিয়েছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। প্রসঙ্গত এ'বছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে আট লক্ষেরও বেশি পরীক্ষার্থী। সাড়ে ছয় হাজারের বেশি পরীক্ষাকেন্দ্রে রাজ্যজুড়ে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা নেওয়া হবে। একটি জেলা বাদে রাজ্যের সবক'টি জেলাতেই ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রীদের সংখ্যা বেশি। এদিন উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ এবং স্কুল শিক্ষা দফতরের আধিকারিকরা উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে একটি রিভিউ বৈঠক করেন। সেই বৈঠকেই নজরদারির জন্য যাতে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ঘাটতি না হয়, সেই বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় বলেই সূত্রের খবর।
হোম সেন্টার পরীক্ষা হওয়ার জন্য প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রেই স্পেশাল অবজার্ভার হিসেবে একজন করে থাকবেন। এই স্পেশাল অবজার্ভার সরকারি আধিকারিক হবেন। প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রেই যাতে স্পেশাল অবজার্ভার হিসেবে সরকারি আধিকারিক থাকেন, সেই বিষয়ে ইতিমধ্যেই স্কুল শিক্ষা সচিব, মুখ্যসচিবের বৈঠক হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর। প্রসঙ্গত, করোনা পরিস্থিতির কারণে এ' বছরই প্রথম হোম সেন্টারে পরীক্ষা নিচ্ছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।
Somraj Bandopadhyay
