২০০৯ কাঁটাপাহাড়িতে বিস্ফোরণ৷ রাজ্যে প্রথম ইউএপিএ মামলা। দু’হাজার পনেরো সালে তৎকালীন মেদিনীপুর জেলা আদালতে এই আইনের ১৮,২০,৩৮,৩৯ ও ৪০ ধারায় পশ্চিম মেদিনীপুরের কাঁটাপাহাড়ি বিস্ফোরণের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত ছত্রধর মাহাত-সহ বাকি অভিযুক্তরা। ওই বছরেই জেলা আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্ট আবেদন ছত্রধরদের। সেই মামলার রায়ে বুধবার হাইকোর্টের নির্দেশ, বেকসুর মুক্ত রাজা সরখেল এবং প্রসূন চট্টোপাধ্যায়। বিচারপতি মুমতাজ খান ও বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষন৷
advertisement
কিছু লিফলেট আর কয়েকটি ডিভিডি’র উপর ভিত্তি করে রাজা ও প্রসূনকে মাওবাদী কার্যকলাপে দোষী সাব্যস্ত করা যায় না।
নির্দোষ হয়েও কেন প্রায় দশ বছর জেলে রাজা সরখেল এবং প্রসূন চট্টোপাধ্যায় ? হাইকোর্টের নির্দেশের পরেই প্রশ্ন মানবাধিকার সংগঠনের। ক্ষতিপূরণ দাবি নিয়ে পরে সিদ্ধান্ত বলেও জানানো হয়েছে।
এদিনের রায়ে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ ছত্রধরদের উপরে থাকা ইউএপিএ’র চারটি ধারা খারিজ করেছে। যাবজ্জীবনের বদলে ভারতীয় দণ্ডবিধির একশো একুশের এ ধারায় সর্বোচ্চ দশ বছরের সাজার নির্দেশ দিয়েছে। একই সঙ্গে যাবজ্জীবন খারিজ হয়েছে ঘটনায় অন্য তিন অভিযুক্ত সাগুন মুর্মূ, শম্ভু সোরেন এবং সুখশান্তি বাসকের।
বিচারপতি মুমতাজ খানের এদিন ছিল হাইকোর্টে শেষ দিন। কাঁটাপাহাড়ি বিস্ফোরণ মামলায় অভিযুক্তদের উপর থেকে চারটি ধারা খারিজ করলেও, ইউএপিএ’র আঠেরো নম্বর ধারাকে মান্যতা দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধারাকে মান্যতা দেওয়ার মানে ওই সময়ে লালগড়ে মাওবাদী কার্যকলাপের অভিযোগকেই স্বীকৃতি দেওয়া।