মন্ত্রীপুত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বেআইনিভাবে কাঁথি দুবলাবাড়ি টেঙড়ামারি সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির চেয়ারম্যান পদ দখল করে রেখেছিলেন সুপ্রকাশ। ওই সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির সদস্য কৃত্তিবাস মাইতির নাম মুছে তার জায়গায় সুপ্রকাশের নাম দেওয়া হয় বলে অভিযোগ মামলাকারী শেখ মুক্তার আলির। গোটা ঘটনায় এদিন সুপ্রকাশ গিরির বিরুদ্ধে FIR দায়ের করা যায় কি না, তা খতিয়ে দেখতে মন্দারমণি থানার তদন্তকারী অফিসারকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। তিনমাসের মধ্যে চার্জশিট জমা দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে আদালতের নির্দেশে ।
advertisement
আরও পড়ুন: জি২০ বৈঠকের প্রস্তুতি পর্ব, সবার সাহায্য চাইলেন মোদি, ‘সাহায্য করব’, বললেন মমতা
মামলাকারীর বক্তব্য, সমবায় আইন অনুযায়ী, যেখানে সমবায় রয়েছে সেই এলাকা-সহ আশপাশের চার গ্রামের বাসিন্দা না হলে, সমবায়ের সদস্য হওয়া যায় না। চাষি ছাড়া অন্য কোনও পেশার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিও সমবায়ের সদস্য হতে পারেন না। সুপ্রকাশ আটলাগুড়ির বাসিন্দা। পেশায় চাষিও নন। তাহলে, তিনি কাঁথি দুবলাবাড়ি টেঙড়ামারি সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির চেয়ারম্যান হন কী করে? মন্ত্রীর ছেলে বলেই কি সুবিধা? প্রশ্ন তোলেন মামলাকারীর।
আরও পড়ুন: ‘আমি আগেই বলেছিলাম ৩০ হাজার বেআইনিভাবে নিয়োগ হয়েছে’: শুভেন্দু অধিকারী
তারপরেই নেতাপুত্রের বিরুদ্ধে FIR দায়ের করা যায় কি না, তা খোঁজ নেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। প্রয়োজনে সাদা কালি ব্যবহার করে কারচুপি হয়েছে কি না, তা জানতে ফরেন্সিকের সাহায্য নেওয়ারও পরামর্শ দেন তিনি। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, তদন্তে কারও বিরুদ্ধে সন্দেহজনক কোনও তথ্য পাওয়া গেলে, কোনও প্রমাণ পাওয়া গেলে, তাঁর নামে এফআইআর দায়ের করতে পারে পুলিশ।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগে নাম জড়িয়েছে অখিল গিরির ছেলে সুপ্রকাশ গিরির। কাঁথির প্রভাতকুমার কলেজে প্রভাব খাটিয়ে ছাত্র ভর্তি করা হয়েছে বলে অভিযোগ। সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সুপ্রকাশের বিরুদ্ধে নালিশ জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন পড়ুয়াদের অভিভাবকরা।