বিধানসভা ভোটের আগে দল বদল করেছিলেন রাজ্যের দুই হেভিওয়েট মন্ত্রী৷ যদিও তাঁরা মন্ত্রী সভা ও বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েই নতুন দলে যোগ দিয়েছিলেন। প্রথম জন শুভেন্দু অধিকারী। গত মন্ত্রীসভায় রাজ্যের পরিবহণ, সেচ, পরিবেশের মতো একাধিক দফতর সামলেছিলেন৷ বিধানসভা ভোটের আগে তিনি দল বদল করে চলে যান বিজেপি'তে। রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশের ধারণা ছিল, গেরুয়া শিবির ক্ষমতায় আসলে রাজ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দফতর পেতেন শুভেন্দু অধিকারী। ২০২১ সালের বিধানসভার ভোটে নন্দীগ্রাম আসন থেকে তিনি মমতা বন্দোপাধ্যায়কে হারিয়ে দিলেও, তার দল বিজেপি ক্ষমতায় নেই৷ ফলে শুভেন্দু অধিকারী আর মন্ত্রী নন। আলোচনায় আর একটি নাম রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ১০ বছর ধরে সেচ, অনগ্রসর কল্যাণ, বন দফতরের দায়িত্ব সামলেছেন। তিনিও শুভেন্দুর মতোই ভোটের আগে দল বদল করে নাম লেখান বিজেপি'তে। ডোমজুড় আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তিনি অবশ্য পরাজিত হন। ফলে রাজ্য মন্ত্রী সভায় তিনি এখন অতীত।
advertisement
পূর্ণেন্দু বসু এবার ভোটে দাঁড়াননি। একইভাবে বাদ রাখা যেতে পারে রেজ্জাক মোল্লার নামও। শারীরিক অসুস্থতার জন্য তিনিও এবার টিকিট পাননি। রাজ্যের দুটি গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর পর্যটন এবং উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদের দায়িত্ব ছিল যথাক্রমে গৌতম দেব ও রবীন্দ্রনাথ ঘোষের ওপর। দুজনেই এবার ভোটে হেরে গেছেন। বাদ পড়েছেন নির্মল মাঝি, অসীমা পাত্র, জাকির হোসেন, বিনয় বর্মন, শান্তিরাম মাহাতো, আশীষ ব্যানার্জি, মন্টুরাম পাখিরা, গিয়াসুদ্দিন মোল্লা, তপন দাশগুপ্ত। ট
গত মন্ত্রিসভায় পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন এর দায়িত্বে ছিলেন শান্তিরাম মাহাতো। কিন্তু পরবর্তী সময়ে তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ ওঠে। নির্মল মাঝিকে নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়েছিল চিকিৎসক নিয়োগ সংক্রান্ত প্রশ্নে। তপন দাশগুপ্ত তার ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। সূত্রের খবর, এজন্যই তাদের বাদ পড়তে হয়েছে এই মন্ত্রীসভা থেকে। রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বিগত মন্ত্রিসভার ক্রীড়া দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী লক্ষ্মীরতন শুক্লা। সারদা কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়ার কারণে মন্ত্রিত্ব ছাড়তে হয়েছিল মদন মিত্রকে। এবছর কামারহাটি থেকে জিতে এসেছেন তিনি। তবে নতুন মন্ত্রিসভায় প্রথম দফায় তার জায়গা হয়নি। সূত্রের খবর, আপাতত এই তালিকা থাকলেও পরে আরও কিছু নতুন সদস্যের জায়গা হতে পারে।