জেলায় জেলায় কন্ট্রোল রুম চালু করার নির্দেশ এসেছে। মহকুমা স্তরেও কন্ট্রোল রুম চালু করতে বলল নবান্ন। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে নবান্ন সূত্রে। ত্রান সামগ্রী এবং অন্যান্য ব্যবস্থা প্রস্তুত রাখতে হবে, জেলাশাসকদের নির্দেশ মুখ্য সচিবের।
কী পরিস্থিতি হচ্ছে লাগাতার বৃষ্টির জেরে? কোথায় কত জল জমছে? নদীগুলিতে বিপদ সীমার উপর দিয়ে জল বইছে? প্রতিমুহূর্তে রিপোর্ট পাঠাতে হবে নবান্নে। জেলাশাসকদের নির্দেশ মুখ্য সচিবের। সব ছুটি বাতিল হল জেলা স্তরে।
advertisement
এর মধ্যেই গঙ্গায় জল বাড়ছে। সকাল ৭:৪৫ মিনিটে জোয়ার শুরু হয়েছে। বেলা ১২:৪০ মিনিটে নদীর জল স্তর প্রায় ১৭.৫৮ ফুট উঠতে পারে।
গঙ্গার ধারের লকগেটগুলি এই মুহূর্তে খোলা রয়েছে। খোলা থাকবে ১০টা ৪০ পর্যন্ত। গেট বন্ধ থাকবে ১০টা ৪০ থেকে ২টো ৪০ পর্যন্ত। এই সময় ভারী বৃষ্টি হলে শহরে জল জমার আশঙ্কা থাকবে।
শনিবার ভোরে ৪টে থেকে ৬টা কোথায় কত বৃষ্টি হয়েছে শহরে, তার পরিসংখ্যান দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। পরমবাজার এলাকায় বৃষ্টি পড়েছে ৪১.৬ মিমি। ঠনঠনিয়া ২৪ মিমি। কুলিয়াট্যাংরা ৩২ মিমি। পাগলা ডাঙা ২১.৪ মিমি। চিংড়িহাটা ৩৯ মিমি। মানিকতলা ৩৩ মিমি। দত্তবাগান ৩২ মিমি। বীরপাড়া ২৭ মিমি। ধাপা ২৪ মিমি। তোপসিয়া ৩৫ মিমি। পাটুলি ১১ মিমি। বালিগঞ্জ ২৩ মিমি। চেতলা ৬ মিমি। যোধপুর পার্ক ২২মিমি, কালীঘাট ১৫ মিমি। বেহালা ১১ মিমি, জোকা ১৯ মিমি এবং গার্ডেন রিচ ৯ মিমি।
আরও পড়ুন- গঙ্গা উপচে বানভাসি হতে পারে কলকাতা! রাত থেকে কোথায় কত বৃষ্টি হল জেনে নিন