পূর্বাভাস ছিল। তবে অল্প সময়ে বেশি বৃষ্টি হওয়ায় শহর কলকাতার অনেকাংশই জলমগ্ন৷ জল দাঁড়িয়ে যায়, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, ঠনঠনিয়া, মানিকতলা, শিয়ালদহ, এমজি রোড সহ উত্তর মধ্য কলকাতার বেশ কিছু জায়গায় রাস্তার উপর। কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ (নিকাশি) তারক সিংহের নির্দেশে নিকাশি দফতরের আধিকারিক ও কর্মীরা তৎপরতার সঙ্গে জল নামানোর কাজে নেমে পড়েন। পুরসভার নিকাশি দফতর সূত্রে খবর,বৃষ্টির সময় জোয়ার থাকায় গঙ্গার জলস্তর বেশি ছিল৷ বিকেল চারটে পর্যন্ত লকগেট বন্ধ থাকার কারণে বেশ কিছু এলাকায় জল জমে যায়। লকগেট খুলে দেওয়ার পর জমা জল নামতে শুরু করে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই অবশ্য মূল রাস্তায় জল সরে যায়।
advertisement
আরও পড়ুন: বাগদা সীমান্তে যুবতীকে গণধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেফতার দুই বিএসএফ জওয়ান
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গণেশকুমার দাস বলেন, মৌসুমী অক্ষরেখা হিমালয় পাদদেশ সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এর ফলে উত্তরবঙ্গ, সিকিম, বিহার এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে আগামী চার থেকে পাঁচ দিন ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সতর্কতা। বঙ্গোপসাগরে কোন সিস্টেম না থাকায় দক্ষিণবঙ্গে শনি ও রবিবার বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি হলেও পরে বৃষ্টি কমবে। ৪৮ ঘণ্টা পর থেকে দক্ষিণবঙ্গেও তাপমাত্রা বাড়বে। বাতাসে জলীয় বাষ্প থাকায় অস্বস্তিও বাড়বে।
আজ শহরের সবথেকে বেশি বৃষ্টি হয়েছে ঠনঠনিয়ায় ও সেন্ট্রাল এভিনিউ সংলগ্ন এলাকায়। এখানে বৃষ্টি হয়েছে ৭৯ মিলিমিটার। মানিকতলায় বৃষ্টি হয়েছে ৭০ মিলিমিটার। এছাড়া চিংড়িঘাটাতে ৫৯ মিলিমিটার, তপসিয়ায় ৩৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। বেলা দুটো থেকে পাঁচটার মধ্যে এই তিন ঘণ্টাপ বৃষ্টিতেই নাজেহাল শহর কলকাতা৷